-
যুদ্ধ শেষে বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র হবে আরব আমিরাত!
যুদ্ধ যখন শেষ হবে, বাশার আল-আসাদ যখন টিকে যাবে, তখন তার প্রধান মিত্র হবে আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব (এবং সেই সাথে ব্র্যাকেটে ইসরায়েল)।
যতই অদ্ভুত শোনাক, এটাই সত্য। এবং এই কথা আজই প্রথম বলছি না, আরো বছর দেড়েক আগে পুরাতন আইডি থেকেও বলেছিলাম। তখন সেটা ছিল জাস্ট একটা অনুমান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা এই অনুমানকে আরো বাস্তবসম্মত করে তুলেছে।
-
মোহাম্মদ দাহলান: বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আমেরিকান-ইসরায়েলি এজেন্ট?
এই ফিলিস্তিনি ভদ্রলোকের (!) নাম মোহাম্মদ দাহলান। এবং ইনি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আমেরিকান এবং ইসরায়েলি এজেন্ট।
দাহলানের জন্ম ফিলিস্তিনের খান ইউনুসে। আর দশজন ফিলিস্তিনি কিশোরের মতো তিনিও ইসরায়েলবিরোধী হিসেবেই বেড়ে উঠেছিলেন। ইনফ্যাক্ট তিনি গাজায় প্রথম ফাতাহ্’র যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রথম ইন্তিফাদার সময় তার বেশ সক্রিয় ভূমিকা ছিল। সে সময় ইসরায়েল তাকে অন্তত ১১ বার গ্রেপ্তার করে। তার জীবনের অন্তত ৫ বছর কাটে ইসরায়েলি জেলে বন্দী অবস্থায়।
মোহাম্মদ দাহলান আসলেই ইসরায়েলি এজেন্ট কিনা, বা ইসরায়েল তাকে আসলেই আনুষ্ঠানিকভাবে রিক্রুট করতে পেরেছে কি না, সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু তার পরবর্তী জীবনের কার্যকলাপ সেদিকেই নির্দেশ করে। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি জর্ডানে যান, ইয়াসির আরাফাতের সাথে পরিচিত হন এবং ফাতাহ’র র্যাঙ্কে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি ফাতাহ’র একটা সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পান।
-
আরব আমিরাত: মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ইসরায়েল
আরব আমিরাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ইসরায়েল। কোনো দিন যদি কোনো গায়েবী উপায়ে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, আরব আমিরাত অনায়াসেই সেই শূন্যস্থান পূরণ করে নিতে পারবে।
আনলাইক অ্যানি আদার আরব কান্ট্রি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের তথা ইউএইর (আরবিতে সংক্ষেপে ইমারাত বলে, আমি সেটা বলতেই অভ্যস্ত, এরপর থেকে আরব আমিরাতকে শুধু ইমারাত হিসেবে উল্লেখ করব) রাজনীতি আগ্রাসনমূলক। এ পর্যন্ত তারা বিশ্বের সাড়ে ছয়টা দেশে সরাসরি নিজেদের সেনাবাহিনী নিযুক্ত করেছে: ইরাক, কসোভো, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন এবং সো কলড ইসলামিক স্টেট (হেন্স হাফ এ কান্ট্রি)।
আরব বিশ্বের মধ্যে ইমারাতের সামরিক সক্ষমতা এবং সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অন্য যে কারো চেয়ে অনেক অনেক বেশি। তারা এমন এক শক্তিশালী মিটিলারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে গড়ে তুলতে চায়, যেন রেজিওনাল কোনো হুমকির মুখে পড়লে আমেরিকা বা ইসরায়েলের কাছ থেকে সাহায্য এসে পৌঁছানোর পূর্ব পর্যন্ত নিজেরাই নিজেদেরকে ডিফেন্ড করতে পারে।