-
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: গ্রামে সংক্রমণ বেশি কেন?
গত বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস নিয়ে আমি এবং আমার লিস্টের অনেকে অনেকগুলো সচেতনতামূলক লেখা লিখেছিলাম। রেসপন্স খুব একটা ভালো ছিল না। অনেকের কাছ থেকেই প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক কমেন্টের শিকার হয়েছি।
ইউরোপের অবস্থা দেখে আমাদের আশঙ্কা ছিল যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন না করলে বাংলাদেশেও সেরকম অবস্থা হতে পারে। আমাদের ভাগ্য ভালো সেরকম কিছু হয়নি। কারণটা সম্ভবত করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন জলবায়ুর, বিভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মানুষের উপর বিভিন্ন রকমের।
কিন্তু যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ আক্রান্ত হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে, সেখানে বাকি কিছু দেশে বেশি সংক্রমণ না হলে সেটাকে রুল হিসেবে না ধরে এক্সেপশন হিসেবে ধরাই ভালো। এবং আল্লাহ্র অশেষ রহমতে এবার হয়নি, কিন্তু পরের বারও যে হবে না, তার নিশ্চয়তা কী, সেটা চিন্তা করে সাবধান হওয়াই ভালো।
-
করোনার ভ্যাক্সিন আসলে কতটুকু ক্ষতিকর?
ইসরায়েলে ভ্যাক্সিন নিয়ে ১০ জনের মুখ বাঁকা হয়ে গেছে, জার্মানিতে ৭ জন, নরওয়েতে ২৪ জন মারা গেছে – বাবারে বাবা, কী ভয়ঙ্কর ব্যাপার! কাজেই ভ্যাক্সিন নেওয়া যাবে না! কী দারুণ লজিক, তাই না?
লজিকের সমস্যাটা দেখেন। ইসরায়েলে ১০ জনের মুখ বাঁকা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা ২০ লাখ মানুষ ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর। এখন এই ২০ লাখ মানুষ যদি একেবারেই ভ্যাক্সিন না নিত, তাহলে আগামী কয়েক মাসে তাদের মধ্যে আক্রান্ত হতে পারত মিনিমাম ৫% বা ১ লাখ মানুষ। এই আক্রান্তদের মধ্যে মারা যেত মিনিমাম ১% বা ১০০০ মানুষ।
-
ইতিহাসে হজ্ব বাতিলের ঘটনা
করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরব এ বছর হজ্ব বাতিল করার কথা বিবেচনা করছে। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং আল্লাহ্ না করুক, যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে হজ্ব বাতিল হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সৌদি হজমন্ত্রী মানুষকে এখনই হজের প্রস্তুতি নিতে নিষেধ করেছেন।
-
কাবা চত্বর বন্ধ: সৌদি আরবের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত!
সৌদি শাসকদের এবং তাদের অনুগত আলেমদের প্রচুর সমালোচনা করেছি, এবং ভবিষ্যতেও করব, ইনশাআল্লাহ। কিন্তু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের একটা স্টেপের প্রশংসা না করলে সেটা অন্যায় হবে। সেটা হচ্ছে তাদের উমরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মতো, সাময়িকভাবে কাবা চত্বর বন্ধ করে দেওয়ার মতো বোল্ড সিদ্ধান্ত।
প্রতি বছর সৌদি আরবে ৯ মিলিয়নের মতো মানুষ উমরাহ এবং হজ্ব পালন করতে যায়। এর মধ্যে শুধু রমজান মাসেই যায় প্রায় ২ মিলিয়ন। আর জিলহজ্ব মাসে যায় প্রায় ৩ মিলিয়ন। উমরাহকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবে বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। এটা শুধু ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত কিংডম অফ সৌদি অ্যারাবিয়ার ক্ষেত্রেই সত্য না, ইসমাঈল (আ) এর আমল থেকেই এটা সত্য।