বিবিধ
-
ওমেন্স কর্নারে আমার সাক্ষাৎকার: সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভাবনা
গত আগস্টের ১২ তারিখে ওমেন্স কর্নারের পক্ষ থেকে আমার একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আমি আমার মতামত তুলে ধরার সুযোগ পাই। সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে দেওয়া হলো। এছাড়া কেউ চাইলে মূল লিঙ্ক থেকেও পড়তে পারেন।
-
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট: গ্রামে সংক্রমণ বেশি কেন?
গত বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাস নিয়ে আমি এবং আমার লিস্টের অনেকে অনেকগুলো সচেতনতামূলক লেখা লিখেছিলাম। রেসপন্স খুব একটা ভালো ছিল না। অনেকের কাছ থেকেই প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক কমেন্টের শিকার হয়েছি।
ইউরোপের অবস্থা দেখে আমাদের আশঙ্কা ছিল যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন না করলে বাংলাদেশেও সেরকম অবস্থা হতে পারে। আমাদের ভাগ্য ভালো সেরকম কিছু হয়নি। কারণটা সম্ভবত করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন জলবায়ুর, বিভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মানুষের উপর বিভিন্ন রকমের।
কিন্তু যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ আক্রান্ত হয়েছে, লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে, সেখানে বাকি কিছু দেশে বেশি সংক্রমণ না হলে সেটাকে রুল হিসেবে না ধরে এক্সেপশন হিসেবে ধরাই ভালো। এবং আল্লাহ্র অশেষ রহমতে এবার হয়নি, কিন্তু পরের বারও যে হবে না, তার নিশ্চয়তা কী, সেটা চিন্তা করে সাবধান হওয়াই ভালো।
-
সর্বস্তরে আরবি ভাষার ব্যবহার!
ভার্সিটিতে আমাদের প্রথম ক্লাসটা ছিল ম্যাথ ওয়ানের। প্রফেসর ছিল একজন সিরিয়ান। ভর্তি হওয়ার আগে শুনেছিলাম, পুরো ইউনিভার্সিটিতে অন্য সব ফ্যাকাল্টিতে পড়াশোনা আরবিতে হলেও কেবলমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সবকিছু হবে ইংরেজিতে। লেকচার অবশ্য আরবিতেই হবে, কিন্তু প্রশ্নোত্তর, লেকচার শিট, রেফারেন্স বই সব হবে ইংরেজি।
ভেবেছিলাম যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং, তাই লেকচার আরবিতে হলেও আর কতটুকু হবে? বেশিরভাগই তো থাকবে ইকুয়েশন আর ম্যাথ – সেগুলোর আর আরবিই কী, ইংরেজিই কী? কিন্তু ক্লাসে ঢুকেই আমার আক্কেল গুড়ুম হওয়ার জোগাড়। সিরিয়ান প্রফেসর ভদ্রলোক একেবারে বিশুদ্ধ আরবিতে গড়গড় করে লেকচার দিয়ে যাচ্ছে, যার শতকরা ৬০ ভাগই আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
-
আরাবিজি: আরবি ট্রান্সলিটারেশনে সংখ্যার ব্যবহার
ইংলিশ টেক্সটে বাংলা লিখলে সেটাকে যেরকম বাংলিশ বলে, সেরকম ইংলিশ টেক্সটে আরবি লেখারও একটা নাম আছে। কেউ বলে আরাবিশ, কেউ বলে আরাবগ্লিশ, কিন্তু অধিকাংশক্ষেত্রেই যে নামটা ব্যবহৃত হয়, সেটা হচ্ছে আরাবিজি (আরাবি+ইঙ্গিলিজি)।
এই আরাবিজি ল্যাঙ্গুয়েজটা বাংলিশের চেয়েও অনেক ফানি। আরবিতে আইন, ক্বাফ, সোয়াদ জাতীয় অনেকগুলো অক্ষর আছে, সেগুলোর সঠিক উচ্চারণ সরাসরি কোনো ইংরেজি অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। ফলে আরাবিজি ল্যাঙ্গুয়েজে সেগুলোকে প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন সংখ্যা দিয়ে।
যেমন ধরুন, “হ্যালো, গুড মর্নিং! হাউ আর ইউ?”, এই বাক্যের মোটামুটি কথ্য আরবি হবে “মারহাবা, সুবাহ আল-খাইর! শিনু আখবারাক?” এখন আরাবিজি ল্যাঙ্গুয়েজে এটা লেখা হবে এভাবে: Mar7aba, 9ba7 al 5air! Shinu a5barak? এখানে 7 ব্যবহৃত হচ্ছে হা (ح) বোঝাতে, 9 ব্যবহৃত হচ্ছে সোয়াদ (ص) বোঝাতে, 5 ব্যবহৃত হচ্ছে খা (خ) বোঝাতে।
অথবা ধরুন, “ডু ইউ স্পীক অ্যারাবিক?”, এই বাক্যের কথ্য আরবি হবে “তাহকি আরাবি?” আর আরাবিজি ল্যাঙ্গুয়েজে এটা হবে এরকম: Ta7ki 3arabi? এখানে 3 ব্যবহৃত হচ্ছে আইন (ع) বোঝাতে। এই রীতি অনুযায়ী হাবিবিকে লেখা হয় 7abibi, হায়াতিকে লেখা হয় 7ayati, তাইয়্যেবকে (ভালো) লেখা হয় 6ayeb, উস্তাদকে লেখা হয় 2ustad …
আরবি কোনো ফোরামে বা চ্যাটরুমে যদি ভুল করে ঢুকে পড়েন, দেখবেন ইংরেজির ভেতরে ভেতরে সংখ্যার ছড়াছড়ি।
-
আমাজিঘ: উত্তর আফ্রিকার বঞ্চিত আদিবাসী মুক্ত মানবেরা
উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর আরবি ভাষাভাষী জনগণকে নিয়ে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন আছে- তারা কি আফ্রিকান, নাকি আরব? ভৌগলিক দিক থেকে উত্তর আফ্রিকা পরিষ্কারভাবেই আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। সেদিক থেকে এর আরবি ভাষাভাষী জনগণও আফ্রিকান। কিন্তু জাতিগত দিক থেকে?
জাতিগত দিক থেকে উত্তর আফ্রিকার জনগণের এক অংশ নিঃসন্দেহে আরব। সপ্তম শতকে ইসলাম প্রচারের জন্য আরবরা যখন উত্তর আফ্রিকায় অভিযান চালায়, তারপর থেকে তাদের অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলে। কালক্রমে ব্যবসায়িক এবং প্রশাসনিক কারণেও আরব উপদ্বীপ থেকে অনেকে উত্তর আফ্রিকায় পাড়ি জমায়। বর্তমানে উত্তর আফ্রিকার জনগণের একটা অংশ তাদেরই বংশধর।
-
স্পাই স্টোরিজ PDF ফ্রি ডাউনলোড!
-
বইমেলা বিষয়ক ফানি স্ট্যাটাস সমগ্র
বইমেলা চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে বেশ কিছু ফানি স্ট্যাটাস দিয়েছি। কিছু আমার স্পাই স্টোরিজ বইয়ের প্রমোশনের অংশ হিসেবে, কিছু এমনিই। এখানে সেগুলো একত্রে তুলে রাখলাম।
– ১ –
ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ।
বইমেলা এলেই নিজের বইয়ের প্রচারণা দিয়ে নিউজফিড ভর্তি করে ফেলায় এতো বছর যাদেরকে মনে মনে গালমন্দ করেছিলাম, এ বছর তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি 🙂 আপনারাও দিন।
এখন হয়তো বুঝছেন না, একদিন নিজে বই বের করলে এর প্রয়োজনীয়তা বুঝবেন। কবি বলেছেন, দাঁত না থাকলে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না।
-
ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট কী?
নিউজে বা মুভিতে প্রায়ই ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট কথাটা শোনা যায়। কিন্তু জিনিসটা কী?
রাষ্ট্রের স্বার্থে অনেক তথ্যকেই সিক্রেট বা টপ সিক্রেট ক্যাটাগরিতে ফেলে পাবলিকের কাছ থেকে গোপন রাখা হয়। ১০, ২৫ বা ৫০ বছর পর্যন্ত সেগুলো গোপন থাকতে পারে।
এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, কিংবা কখনও কখনও এর আগেই কেউ ফ্রিডম অফ ইনফরম্যাশন অ্যাক্ট জাতীয় কোনো ধারায় রিকোয়েস্ট করলে, কিংবা মামলা ঠুকে দিলে, অনেক সময় সরকার কিংবা গোয়েন্দাসংস্থাগুলো কিছু তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য হয়।
গোপন তথ্য প্রকাশ করার এই প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে ডিক্লাসিফিকেশন। আর এই প্রক্রিয়ায় ডিক্লাসিফাই করা ডকুমেন্টকে বলা হয় ডিক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট। অর্থাৎ আগে কোনো ডকুমেন্ট “টপ সিক্রেট” হিসেবে ক্লাসিফাইড ছিল, এখন সেটাকে ডিক্লাসিফাই করা হয়েছে।
-
নিউজ সাইটগুলোর প্রিমিয়াম আর্টিকেল যেভাবে পড়বেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে!
ফ্রি নিউজ পড়ার দিন প্রায় শেষ হয়ে আসছে। প্রায় কোনো নামিদামি পত্রিকাই এখন আর প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক আর্টিকেলের বেশি ফ্রি পড়তে দেয় না। নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউ ইয়র্কার, ফরেন অ্যাফেয়ার্স – এরা প্রত্যেকেই এখন পে-ওয়াল সিস্টেমে চলে গেছে। এদের প্রিমিয়াম আর্টিকেল পড়তে চাইলেই টাকা দাবি করে বসে। কিন্তু এতো টাকা আমরা পাবো কই?
দুশ্চিন্তার কিছু নাই। প্রিমিয়াম আর্টিকেলগুলোর এই পে-ওয়াল সিস্টেমও বাইপাস করার কিছু উপায় আছে। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে বাইপাস করাটা খুবই সহজ, প্রায় সব সাইটের নিউজই বাইপাস করা যায়। সেই তুলনায় মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে একটু সীমাবদ্ধতা আছে। এখানে আমি তিনটা টিপস দিচ্ছি। প্রথম দুইটা মোবাইলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, কিন্তু অনেক সাইটের ক্ষেত্রে কাজ করবে না। আর তৃতীয়টা ব্রাউজারের জন্য, কিন্তু বহুল ব্যবহৃত প্রায় সব সাইটের জন্য পারফেক্ট।
-
আপনি যেভাবে রোর বাংলার লেখক হবেন (৬টি অব্যর্থ টিপস)
রোর বাংলা আবারও লেখক নিচ্ছে। যদিও আমি জাস্ট একজন লেখক, রোর বাংলার সম্পাদকীয় প্যানেলের কেউ না, তারপরেও প্রতিবারই রোর বাংলার লেখক চাই বিজ্ঞাপন শেয়ার করলে পরিচিত-অপরিচিত অনেকে ইনবক্সে যোগাযোগ করে। বিভিন্ন টিপস জানতে চায়। অনেকে বিজ্ঞাপন ছাড়াও এমনিতে নিজের লেখার স্যাম্পল পাঠায় সম্পাদকদের কাছে পাঠানোর জন্য।
তো সেজন্যই এই লেখাটা লিখলাম। যারা রোর বাংলায় লিখতে আগ্রহী, আশা করি তাদের কাজে লাগবে। যদিও আমি লেখক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত নই, কিন্তু যেহেতু আমি নিজেও স্যাম্পল পাঠিয়েই নির্বাচিত হয়েছি এবং এরপর অনেকের স্যাম্পলকে রিজেক্ট হতে দেখেছি, তাই আমার ধারণা এ ব্যাপারে আমার মোটামুটি ভালো একটা আইডিয়া তৈরি হয়েছে।