-
সাদাত হোসাইনের চার রংয়ের প্রচ্ছদ বিতর্ক: দোষ কার?
কোনো ঘটনায় অধিকাংশ মানুষই কাকে দায়ী করতে হবে, সেটা জানে না। যে ফেমাস, বা যে সফল, তার প্রতি সম্ভবত মানুষের ঈর্ষা একটু বেশি থাকে। ফলে তাকেই দায়ী করে। অনেক সময়ই অন্যায়ভাবে।
সাদাত হোসাইনের কথাই ধরেন। তার উপন্যাস আপনার কাছে ভালো নাই লাগতে পারে এবং সেজন্য তার উপন্যাসের সমালোচনা করার পূর্ণ অধিকার আপনার আছে। একইসাথে চার রংয়ের বই বিক্রি করার আইডিয়াটাও আপনার কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে এবং সেটা নিয়ে সমালোচনা করার অধিকারও আপনার আছে।
-
সাদাত হোসাইনের আরশিনগর: পাঠ প্রতিক্রিয়া
জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক সাদাত হোসাইনের আরশিনগর উপন্যাসটা পড়লাম। খুবই ভালো লেগেছে। পাঠ প্রতিক্রিয়া হিসেবে এক কথা বলা যায়, যতটা আশা করেছিলাম, সাদাত হোসাইন তার চেয়েও বেশি তুষ্ট করতে পেরেছেন।
সাদাত হোসাইনের ভাষা পুরোপুরি সাবলীল না। তার বর্ণনায় বাহুল্য আছে। আরশিনগর উপন্যাসে বাক্যের শেষে খণ্ডিত বাক্যাংশের পুনরাবৃত্তি করার স্টাইলটা খুবই বিরক্তিকর। যেমন: “সে খুব কাঁদল। খুব।” এক উপন্যাসে কয়েকশো বার “মানবজনম” শব্দটার ব্যবহারও বিরক্তিকর।
কিন্তু এসব ইগনর করতে পারলে তার কাহিনীর বুনন অসাধারণ। বিশাল কলেবরে প্রচুর চরিত্র নিয়ে সমান্তরালে অনেকগুলো কাহিনী তিনি দাঁড় করিয়েছেন। শুরুরদিকে আপাত সম্পর্কহীন চরিত্রগুলোকে পরবর্তীতে এক বিন্দুতে নিয়ে এসেছেন। হুমায়ূন আহমেদদের হাত ধরে আমরা ৬০-৭০ পৃষ্ঠার গল্পকেই যে উপন্যাস বলে ভাবতে শিখেছিলাম, সাদাত হোসাইন এবং এ জাতীয় আরও কিছু নতুন লেখক সেটা ভেঙ্গে দিচ্ছেন।