![নন লিনিয়ার মুভি](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGQmVzdC1Ob24tTGluZWFyLU1vdmllcy5qcGcmY2FjaGVNYXJrZXI9MTcxNDA3OTQ5NS01MTczOSZ0b2tlbj1kOGRjMGQwY2U3NTI3ODlm.q.jpg)
নন-লিনিয়ার টাইমলাইন হলো যেখানে সিনেমার কাহিনী সরল গতিতে এগোয় না। অথবা বলা যায়, যেখানে সিনেমার দৃশ্য পরম্পরা বাস্তবের ঘটনার পরম্পরা অনুসরণ করে না। আগের ঘটনা পরে, পরের ঘটনা আগে – এভাবে দেখানো মিলিয়ে-মিশিয়ে দেখানো হয়।
এ ধরনের মুভির সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল, এতে কাহিনী এমন জটিলভাবে সাজানো যায় যে পুরো মুভি জুড়ে শেষের ঘটনাগুলো সম্পর্কে কিছু কিছু আভাস দিয়ে আকর্ষণও তৈরি করা যায়, আবার মূল রহস্যটা একেবারে শেষ দৃশ্যে এসেও উন্মোচিত করা যায়। ফলে পুরো সিনেমা জুড়েই সিনেমাটা দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে।
ক্রিস্টোফার নোলানের ফিল্মগুলো এর একটা ভালো উদাহরণ। আমার দেখা সেরা কিছু নন লিনিয়ার স্ট্রাকচারে তৈরি মুভির কথা এখানে আলোচনা করলাম:
১। মেমেন্টো (Memento)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGTWVtZW50by5qcGcmY2FjaGVNYXJrZXI9MTcxNDA3OTQ5NS0xOTY0OSZ0b2tlbj1iMzM0MzJjNDlmYTc5YTRl.q.jpg)
নন লিনিয়ার স্ট্রাকচারের সবচেয়ে ভালো উদাহরণ ক্রিস্টোফার নোলানের মুভি মেমেন্টো (২০০০)। এটা শুধু নন লিনিয়ার স্ট্রাকচারে নয়, একেবারে রিভার্স ক্রনোলজিক্যাল স্ট্রাকচারে তৈরি। অর্থাৎ এর কাহিনী শেষের দিকে প্রথম দিকে এগোয়। সিনেমাটা মূলত রঙ্গিন, কিন্তু পরপর দুটো রঙ্গিন দৃশ্যের মাঝে স্বল্প ব্যাপ্তির একটা করে সাদাকালো দৃশ্য আছে। সিনেমার একেবারে শুরুতে দেখানো হয় শেষ দৃশ্যটা, তার পরে দেখানো হয় তার আগের দৃশ্যটা, তার পরে তারও আগের দৃশ্য … এভাবে।
এই রঙ্গিন দৃশ্যগুলোর মাঝে মাঝে যে সাদাকালো দৃশ্যগুলো দেখানো হয়, সেগুলো কিন্তু আবার কাহিনীর শুরু থেকে সামনের দিকে এগোতে থাকে থাকে। একেবারে শেষ দৃশ্যে এসে রঙ্গিন এবং সাদাকালো দৃশ্য মিলে এক হয়ে যায় এবং দর্শকদের দেওয়া হয় চূড়ান্ত এক চমক। ভয়াবহ জটিল এই ছবিটার মর্মোদ্ধার করার জন্য একাধিকবার দেখা বাধ্যতামূলক।
এই ফিল্মে শর্ট টার্ম মেমোরি লসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার স্ত্রীর হত্যাকারীকে খুঁজে বেড়ায়। তার শরীরে আঁকা ট্যাট্টু এবং অন্যান্য সূত্র থেকে প্রতিবার তাকে বুঝে নিতে হয় সে কে এবং এরপর তাকে কী করতে হবে। কারণ প্রতিবারই পনেরো-বিশ মিনিট পরপর সে তার সাম্প্রতিক স্মৃতিগুলো হারিয়ে ফেলে।
সিনেমাটা শেষ থেকে শুরু করার ফলে যে চমৎকার ব্যাপারটা ঘটেছে, সেটা হলো সিনেমার প্রতি মুহূর্তে নায়ক যতটুকু জানে, দর্শকও ঠিক ততটুকুই জানে। নায়কের কাছে যে ব্যাপারগুলো অস্পষ্ট, সেগুলো দর্শকের কাছেও অজানা। তাই দর্শক অনকেটাই নায়কের মানসিক অবস্থার কাছাকাছি যেতে পারে।
২। দ্যা প্রেস্টিজ (Prestige)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGVGhlLVByZXN0aWdlLmpwZyZjYWNoZU1hcmtlcj0xNzE0MDc5NDk1LTEyNzM1JnRva2VuPTA2MDg0ZTNlYmM0ZGEyZTM.q.jpg)
দ্য প্রেস্টিজ (২০০৬) ক্রিস্টোফার নোলানের আরেকটি অসাধারণ মুভি। দুই ম্যাজিশিয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কাহিনী। দুই বন্ধু ম্যাজিশিয়ানের শত্রুতা শুরু হয় যখন একজনের একটু অসাবধানতা বা অজ্ঞানতার জন্য শো দেখানো অবস্থাতেই অন্যজনের স্ত্রী মারা যায়। এরপর থেকেই তারা একজন আরেকজনের শো ভুন্ডুল করে দিতে এবং অন্যজনের ম্যাজিকের গোপন কৌশল উদ্ধার করতে উঠেপড়ে লাগে।
ম্যাজিকে মানুষকে গায়েব করে দেওয়ার বা টেলিপোর্ট করার প্রসঙ্গ ধরেই মুভিতে চলে আসে বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী পাগলাটে বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার কথাও। মুভির বড় একটা অংশ জুড়ে টেসলাকে দেখানো হয়, যেখানে তিনি টেলিপোর্ট করার একটি মেশিন আবিষ্কার করেন। এই টেলিপোর্টেশন যন্ত্র ব্যবহার করতে গিয়েই মুভির মূল প্যাঁচ শুরু হয়।
শুধু নন লিনিয়ার ন্যারেটিভ স্টাইলের স্ক্রিপ্টের জন্য না, অসাধারণ ডায়লগ আর চিত্রনাট্যের জন্যও এই সিনেমার কথা চিরজীবন মনে রাখা যায়। মেমেন্টোর মতো এটাও ভয়াবহ জটিল একটা সিনেমা, কমপক্ষে দুইবার না দেখলে এর কাহিনী বুঝা সম্ভব না।
৩। ফলোয়িং (Following)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGRm9sbG93aW5nLmpwZyZjYWNoZU1hcmtlcj0xNzE0MDc5NDk1LTI4NDE4JnRva2VuPTE2NzNlM2JlNjY5NTI1Mzg.q.jpg)
ফলোয়িং (১৯৯৮) মুভিটাও ক্রিস্টোফার নোলানের। এবং এটা হচ্ছে তার প্রথম সিনেমা। অত্যন্ত স্বল্প বাজেটে, নিম্ন মানের ক্যামেরা এবং লাইটিং ব্যবহার করে, সাদাকালোতে তৈরি এবং বন্ধু-বান্ধবদেরকে দিয়ে কাজের ফাঁকে ফাঁকে, ছুটির দিনগুলোতে অভিনয় করানো এই মুভিটা একটু কম পরিচিত হলেও যারা দেখেছেন শুধু তারাই বলতে পারবেন এটা কত অসাধারণ একটা ছবি।
এক লেখক উদ্দেশ্যহীন ভাবে রাস্তায় অপরিচিত লোকজনকে অনুসরণ করত। এরকম করতে গিয়েই একদিন সে আরেকজনের হাতে ধরা খায়, যে নিজেও অনেকটা এই চরিত্রেরই অধিকারী। এরপর তারা দুইজনে মিলে অপরিচিত লোকজনের ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র উল্টাপাল্টা করে রেখে আসতে শুরু করে।
এভাবে একদিন এক মহিলার বাসায় ঢোকার পর থেকেই শুরু হয় জটিলতা। জটিল এই মুভিটায় একই সাথে পাশাপাশির তিন ধরনের টাইমলাইনে কাহিনী এগোতে থাকে। সিনেমার শেষে গিয়ে তিন কাহিনী একসাথে এসে মিলে যায়।
৪। পাল্প ফিকশন (Pulp Fiction)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGUHVscC1GaWN0aW9uLmpwZyZjYWNoZU1hcmtlcj0xNzE0MDc5NDk1LTIwMzM2JnRva2VuPThlMzBkNzY4OGY2MmE4MmE.q.jpg)
পাল্প ফিকশন (১৯৯৪) হচ্ছে কুয়েন্টিন টারান্টিনোর মাস্টারপিস। এই পরিচালকের বেশিরভাগ সিনেমাই বিভিন্ন চ্যাপ্টারে বা সেগমেন্টে ভাগ করা থাকে। এটি হচ্ছে সেই ধারার মৌলিক ছবি। মূল ঘটনাটি কয়েকটি সেগমেন্টে ভাগ করে দেখানো হয়েছে এতে।
প্রথমে যে হোটেল ডাকাতির দৃশ্যটি দেখানো হয়, সেটি আসলে শেষ দৃশ্যেরই একটি অংশ। পরের সেগমেন্টগুলোতে ঐ হোটেল ডাকাতির আগের এবং তার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা দেখানো হয়। একেবারে শেষ সেগমেন্টে এসে হোটেল ডাকাতির দৃশ্যটির বাকি অংশ দেখিয়ে সিনেমাটি শেষ করা হয়।
টারান্টিনোর অন্যান্য ছবি যেমন রেজারভয়্যার ডগস বা ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডসেও এরকম চ্যাপ্টারভিত্তিক দৃশ্য দেখানো হয়। কিন্তু সেগুলো ঠিক নন লিনিয়ার না। পাল্প ফিকশন মুভিটা আইএমডিবিতে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সমালোচকদের কাছেও এটি অত্যন্ত প্রশংসিত। কিন্তু আমেরিকান কালচারের সাথে পরিচিতি না থাকলে এই মুভি অনেকের কাছে সেরকম অসাধারণ মনে নাও হতে পারে।
৫। দ্য বাটার-ফ্লাই ইফেক্ট (The Butterfly Effect)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGVGhlLUJ1dHRlcmZseS1FZmZlY3QuanBnJmNhY2hlTWFya2VyPTE3MTQwNzk0OTUtMTYwODEmdG9rZW49OTkyM2JhZWI2MDE4YWFlNQ.q.jpg)
মাইন্ড ব্লোয়িং একটা টাইম ট্রাভেলিং মুভি দ্য বাটার-ফ্লাই ইফেক্ট (২০০৪)। এই মুভির বাজেট যদি আরেকটু বেশি হতো, মেকিংটা যদি আরেকটু ভালো হতো এবং এর অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও যদি আরেকটু ভালো কাজ দেখাতে পারত, তা হলে এর কাহিনী এবং চিত্রনাট্য যেরকম দারুণ, এটা একটা অসাধারণ মুভি হতে পারত।
প্রথম একঘণ্টা তো আমি বুঝতেই পারিনি কী দেখানো হচ্ছে। সিনেমার শেষের দিকে এসে যখন বুঝলাম, একটানা দুই মিনিট স্তব্ধ হয়ে বসেছিলাম। এই মুভির কাহিনীর কাছাকাছি আইডিয়া নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের একটা উপন্যাস আছে – নিষাদ। উপন্যাসটাও আমার কাছে দারুণ লেগেছে। এই মুভির আরো দুইটা সিক্যুয়েল আছে, কিন্তু সেগুলো ভালো না।
৬। ট্রায়াঙ্গেল (Triangle)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGVHJpYW5nbGUuanBnJmNhY2hlTWFya2VyPTE3MTQwNzk0OTYtMTc4MjEmdG9rZW49OThlNjQ1YzlkZGE5MGVlMQ.q.jpg)
ট্রায়াঙ্গেল (২০০৯) মুভিটা আমার মতে খুবই আন্ডাররেটেড একটা মুভি। সম্ভবত এর কারণ হচ্ছে এই জাতীয় কাহিনীর মুভি প্রচুর আছে। কিন্তু আমার কাছে এটা খুবই দারুণ লেগেছে। অবশ্য প্রায় একই কনসেপ্টের একটা ফ্রেঞ্চ মুভি আছে টাইমক্রাইম নামে, সেটাকে ট্রায়াঙ্গেলের চেয়েও ভালো দাবি করা যেতে পারে।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে গিয়ে টাইম লুপে পড়ে যাওয়া কিছু মানুষের মৃত্যুর পূর্বের ঘটনাগুলো এখানে বারবার লুপের বিভিন্ন অংশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়, যেখানে মেয়েটা বারবার চেষ্টা করে এই লুপ থেকে বেরিয়ে আসতে। প্রতিবারই মেয়েটা একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে বাঁচার চেষ্টা করে, কিন্তু নিয়তি তাকে প্রতিবারই লুপে আটকে ফেলে। একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাসে দেখতে হয় মুভিটা। এবং বলাই বাহুল্য মূল টুইস্টটা শেষ মুহূর্তের জন্যই রেখে দেওয়া হয়েছে।
৭। মূলহল্যান্ড ড্রাইভ (Mulolland Drive)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGTXVsb2xsYW5kLURyaXZlLmpwZyZjYWNoZU1hcmtlcj0xNzE0MDc5NDk1LTE5NTUzJnRva2VuPWNjMjJhZmYwN2U3YzhlNjc.q.jpg)
ব্যাতিক্রমধর্মী পরিচালক ডেভিড লিঞ্চের পরিচালনায় অদ্ভুত একটি পরাবাস্তবতার ছবি মূলহল্যান্ড ড্রাইভ (২০০১)। স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলা এক তরুণী আশ্রয় নেয় সিনেমায় অভিনয় করতে ইচ্ছুক আরেক তরুণীর বাসায়। দুজনে মিলে তার পরিচয় বের করতে চেষ্টা করে, তাদের পেছনে কারা যেন তাড়া করে, এর মধ্যে তাদের দুইজনের মধ্যে অদ্ভুত এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কিন্তু যাকিছু ঘটছে, সেগুলো কি বাস্তব, নাকি স্বপ্ন, নাকি স্মৃতিশক্তিহীন মেয়েটির কল্পনা, বোঝা বেশ কষ্টকর হয়ে উঠে। স্বপ্ন এবং বাস্তবের মিশ্রণে তৈরি অদ্ভুত ধরনের জটিল এই মুভিটি সবার কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু পরিচালকের মাথায় যে কিছু একটা আছে, এটা সবাই স্বীকার করতে বাধ্য হবে।
৮। সিটি অফ গড (City Of God)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGQ2l0eS1vZi1Hb2QuanBnJmNhY2hlTWFya2VyPTE3MTQwNzk0OTUtMjUzOTkmdG9rZW49YjllZmU2N2JiNDFhZDY0Yw.q.jpg)
অপেশাদার অভিনেতাদের অভিনয়ও কত অসাধারণ হতে পারে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ব্রাজিলিয়ান মুভি সিটি অফ গড (২০০২)। মুভিটা দেখার সময় মনেই হয় না কোন সিনেমা দেখছি। মনে হয় এগুলো বাস্তব ঘটনা, গোপন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা হয়েছে – অভিনয়, মেকিং সবকিছু বাস্তবের এতো কাছাকাছি!
কাহিনীটা ব্রাজিলের আন্ডারওয়ার্ল্ডের। অথবা বলা ভালো ব্রাজিলের দরিদ্র বস্তিবাসীদের জীবনের। বস্তির কিছু চরিত্রকে কেন্দ্র করেই নন-লিনিয়ার টাইমলাইনে আবর্তিত হয় কাহিনী। মুভিটার অবস্থান আইএমডিবির টপ লিস্টের একেবারে উপরের দিকে।
৯। দ্য ইংলিশ পেশেন্ট (The English Patient)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGVGhlLUVuZ2xpc2gtUGF0aWVudC5qcGcmY2FjaGVNYXJrZXI9MTcxNDA3OTQ5NS0yMDA4OSZ0b2tlbj0zNWYwZjkzNTllNjJmODg3.q.jpg)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষপর্যায়ে এক ইতালিয়ান ভিলায় এসে উপস্থিত হয় এক রহস্যময় রোগী, যার সমস্ত মুখমণ্ডল আগুনে পোড়া এবং যার স্মৃতিশক্তি সম্পূর্ণ লোপ পেয়েছে। এক নার্সের সেবায় ধীরে ধীরে তার স্মৃতি ফিরে আসতে থাকে। সেই সাথে ফ্ল্যাশব্যাকে উঠে আসতে থাকে তার রোমাঞ্চকর জীবনের কথা – কেন সে লিবিয়ান মরুভূমির মধ্য দিয়ে পাড়ি জমিয়েছিল? কোন গোপন মিশনের দায়িত্ব ছিল তার উপর?
বেস্ট পিকচারসহ মোট আট বিভাগে অস্কার জয়ী দ্য ইংলিশ পেশেন্ট (১৯৯৬) মুভিতেও নন লিনিয়ার ন্যারেটিভ স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এই মুভিকে একটা কাহিনী না বলে অনেকগুলো কাহিনীর সমষ্টি বলাই ভালো।
১০। অ্যাটোনমেন্ট (Atonement)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGQXRvbmVtZW50LmpwZyZjYWNoZU1hcmtlcj0xNzE0MDc5NDk1LTE4OTU1JnRva2VuPTk0ZmYyOGQ3NzkzY2JiNGI.q.jpg)
বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে মুভি নির্মাণে পরিচালক জো রাইটের জুড়ি নেই। তার অ্যাটোনমেন্ট (২০০৭) মুভিটাও উপন্যাস অবলম্বনেই নির্মিত। তবে তার অন্য কয়েকটা বিখ্যাত মুভির মতো জেন অস্টিনের উপন্যাস না, ইয়ান ম্যাকইওয়ানের উপন্যাস।
খুব সুন্দর একটা রোমান্টিক ড্রামা এটা। সামান্য একটু ভুল বুঝাবুঝির কারণে কয়েকজন মানুষের জীবনে কতবড় ওলট-পালট ঘটে যেতে পারে, তারই চমৎকার উদাহরণ এই ছবিটা। তবে শুধু রোমান্স না, একইসাথে এতে আছে যুদ্ধ, শ্রেণি বৈষম্য, নিয়তি, শৈশবের স্মৃতিচারণসহ বিভিন্ন উপাদান।
১১। ৫০০ ডে’জ অফ সামার (500 Days Of Summer)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGNTAwLURheXMtT2YtU3VtbWVyLmpwZyZjYWNoZU1hcmtlcj0xNzE0MDc5NDk1LTIzMzI4JnRva2VuPWJkNGQ5ZTk4Y2EyNjk1N2M.q.jpg)
বেশ সুন্দর একটি রোমান্টিক কমেডি ৫০০ ডে’জ অফ সামার (২০০৯)। ডায়লগগুলো চমৎকার। খুবই সাদামাটা কাহিনী। শুধুমাত্র দুই প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেমের ৫০০টি দিনের মধ্যে বিভিন্ন দিনের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে দেখানোর মধ্য দিয়ে সম্পর্কের নানা দিক তুলে ধরা হয়।
অভিনয়ে আছেন পরবর্তীতে বিখ্যাত হওয়া জোসেফ গর্ডন লেভি। আর হ্যাঁ, সামার কিন্তু এখানে গ্রীষ্মকাল না। ওটা সিনেমায় প্রেমিকাটার নাম।
১২। ইররিভার্সিবল (Irreversible)
![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMCUyRjA2JTJGSXJyaXZlcnNpYmxlLmpwZyZjYWNoZU1hcmtlcj0xNzE0MDc5NDk1LTIwMTI1JnRva2VuPTlmZWQyYWVmOThkNWJhZDk.q.jpg)
মনিকা বেলুচি অভিনীত ইররিভার্সিবল (২০০২) মুভিটাকে আমি লিস্টে রাখতে চাইনি। কারণ আমার মতে এটা একটা জঘন্য বিকৃত মানসিকতার মুভি। কিন্তু রাখতে হলো এই কারণে যে এটা আক্ষরিক অর্থেই একটা ননলিনিয়ার মুভি। মেমেন্টোর মতো হাফ রিভার্স ক্রনোলজির না, এটা পুরাই রিভার্স ক্রনোলজির ছবি। সিনেমা শেষ থেকে শুরু হয়ে শুরুতে গিয়ে শেষ হয়। মুভিটা শুধু তালিকাতেই রাখলাম, কিন্তু কাউকে দেখার জন্য মোটেও অনুপ্রাণিত করব না। বরং নিরুৎসাহিতই করব।
এটা সামহোয়্যার ইন ব্লগে লেখা অনেক পুরাতন রিভিউ। তা না হলে অ্যামোরেস পেরোস-সহ আরো কিছু মুভির নামও আসতে পারত। এছাড়াও আরও কিছু মুভি আছে, যেগুলো উপরের মুভিগুলোর মতো ব্যাপক নন লিনিয়ার না হলেও সেগুলোর কাহিনীও পুরাপুরি সরল নয়। আমার পছন্দের কয়েকটা এরকম মুভি হচ্ছে –
ব্যাটম্যান বিগিনস, গডফাদার টু, দ্যা ইউজুয়্যাল সাসপেক্টস, স্লামডগ মিলিওনিয়ার, রান লোলা রান, ক্র্যাশ, দ্যা কিউরিয়াস কেইস অফ বেঞ্জামিন বাটন ইত্যাদি।
নন লিনিয়ার প্লটের মুভিগুলো বেশ দুর্দান্ত হয়। ইংরেজি ভাষার বাহিরেও দুর্দান্ত অনেকগুলো নন লিনিয়ার কাহিনীর মুভি রয়েছে। বিশেষ করে কোরিয়ান কিছু চমৎকার সিনেমা রয়েছে। এই পোস্টটাও ভালো হয়েছে।