-
মুভি বনাম উপন্যাস: কোনটা ভালো?
অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা, কোনো উপন্যাস অবলম্বনে মুভি বানানো হলে মুভিটা উপন্যাসের মতো ভালো হয় না। উপন্যাসে অনেক বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়, কল্পনার দৃষ্টি দিয়ে সবকিছু দেখা যায়, মুভিতে সেই সুযোগ থাকে না।
এটা অনেকাংশে সত্য, কিন্তু সব সময় অবশ্যই না। এবং এই যে অনেকাংশেই সত্য, এর মধ্যেও একটা ঘাপলা আছে। ঘাপলাটা কী? ব্যাখ্যা করছি।
-
দ্য ম্যাসেজ: গাদ্দাফির কল্যাণে যেভাবে আলোর মুখ দেখেছিল সিনেমাটি
হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জীবনী নিয়ে নির্মিত দ্য ম্যাসেজ (The Message) তথা আর-রিসালাহ মুভিতে বদরের যুদ্ধের একটা সিন আছে। সেখানে যুদ্ধের পূর্বে মুসলমানদেরকে একটা কুয়া থেকে পানি তুলতে দেখা যায়। বিখ্যাত লিবিয়ান পর্যটক ওসামা থিনির পোস্ট অনুযায়ী, ফিচার ইমেজের ছবির এই জিনিসটাই হচ্ছে সেই কুয়াটা। জায়গাটা লিবিয়ার দক্ষিণে ওবারি শহরের নিকটে, সাহারা মরুভূমিতে।
-
ক্যাথারিন গান: যে স্পাই ইরাক যুদ্ধ থামিয়ে দিতে চেয়েছিল
হুইসেল ব্লোয়ারদের কথা উঠলেই আমাদের মনে পড়ে এডওয়ার্ড স্নোডেন কিংবা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের কথা, কিংবা বড়জোর পেন্টাগন পেপার্সের ড্যানিয়েল এলসবার্গের কথা। সন্দেহ নেই, তাদের প্রত্যেকের কাজই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু তারা মার্কিন সরকারের টপ সিক্রেট তথ্যগুলো প্রকাশ করেছেন বা করতে পেরেছেন সময়ের অনেক পরে।
সেই তুলনায় ক্যাথারিন গান এক ব্যতিক্রমী হুইসেল ব্লোয়ার। ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি যখন জানতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য মিলে অন্যায়ভাবে ইরাক আক্রমণের জন্য জাতিসংঘের ভোট জালিয়তি করতে যাচ্ছে, তখন তিনি সময়ের অনেক আগেই সেটা ফাঁস করে দিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সময় থাকতেই অন্যায় একটা যুদ্ধ থামিয়ে দিতে। বলাই বাহুল্য, তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু সন্দেহ নেই তিনি বিশ্বের সামনে উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন।
-
ন ডরাই চলচ্চিত্রে আয়েশা বিতর্কের সমস্যা
ন ডরাই চলচ্চিত্রটার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়বস্তু এবং দৃশ্যের পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে সমালোচকদের এবং মামলাকারীর একটা গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ হচ্ছে, মূল চরিত্রের নাম আয়েশা রাখার মধ্য দিয়ে এখানে নাকি রসূল (স) এর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা) এর অবমাননা করা হয়েছে।
ন ডরাইয়ের আয়েশা, কিংবা ভূতের বাচ্চা সোলায়মানের সোলায়মান, এ ধরনের নাম নিয়ে বিতর্কের ভবিষ্যৎ হলো, সেফ সাইডে থাকার জন্য আগামী দিনগুলোতে কোনো গল্প-উপন্যাস বা চলচ্চিত্রে কেউ কোনো ইসলামি নাম ব্যবহার করবে না। আধুনিক বাংলা নাম ব্যবহার করবে।
এখন যারা এই নামগুলো নিয়ে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলছে, তখন তারাই আবার এর পেছনে ষড়যন্ত্র খুঁজে পাবে – যেখানে গ্রাম বাংলার প্রতিটা ঘরে ঘরে আরবি/ইসলামি নামই বেশি ব্যবহৃত হয়, সেখানে গল্প-উপন্যাসে বাংলা/হিন্দুয়ানি নাম ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে বাস্তবে কীভাবে সমাজের উপর ইসলামের প্রভাবকেই অস্বীকার করা হচ্ছে!