পত্রপত্রিকায় বা ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা দেখা যায় আমেরিকার বিরুদ্ধে। এর একটা কারণ তো পরিষ্কার – আমেরিকা আসলেই বিশ্বের নাম্বার ওয়ান কালপ্রিট। তা না হলে তারা তাদের সুপার পাওয়ার মেইন্টেইন করতে পারত না।
কিন্তু আমেরিকা বিরোধিতার এটাই একমাত্র কারণ না। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, পাবলিক আমেরিকাবিরোধিতা বেশি খায়। সেজন্যই দেখা যায় যারা আসলে আমেরিকাবিরোধী না, বা ইনফ্যাক্ট যারা নিজেরাই আমেরিকার পাপেট, তারাও প্রকাশ্যে প্রচণ্ড আমেরিকাবিরোধী সাজে এবং পাবলিকের মন জয় করার জন্য অন্যদেরকে আমেরিকাপন্থী, বা যেকোনো অপরাধকে আমেরিকার ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করতে থাকে।
উদাহরণ প্রচুর পাওয়া যাবে। মিসরের উদাহরণটা বিবেচনা করা যায়। প্রেসিডেন্ট মুরসিকে অবৈধভাবে সরিয়ে জেনারেল সিসি ক্ষমতায় বসেছিল আমেরিকার নীরব সমর্থন নিয়েই। না, আমেরিকা মেইন প্লেয়ার ছিল না, কিন্তু তারা ক্যু হবে জেনেও কোনো বাধা দেয়নি।
犀利士 e-1333″ class=”more-link”>(more…)
আমেরিকার সাথে ইরানের বিরোধ নিয়ে লিখুন। আমেরিকা বিরোধী মনোভাব জিইয়ে রাখার ক্ষেত্রে ইরানি পলিসি সমথর্নকারীদের প্রচারণার একটা প্রভাব আছে সম্ভবত।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার কমেন্টের জন্য। হ্যাঁ, লেফটিস্ট এবং ইরানি মিডিয়া এক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে। খোমেনি ক্ষমতায় এসেছিলই আমেরিকা সমর্থিত শাহকে সরিয়ে। সেই থেকেই আমেরিকাবিরোধী বিপ্লবী প্রচার-প্রচারণা তাদের লেজিটিমেসির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ।
ইরান প্রতিটা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপারেও আমেরিকাকে দায়ী করে। এমনকি ব্যতিক্রম কিছু কিছু ক্ষেত্রে যখন তাদের সাথে আমেরিকার গোপন সমোঝোতা হয়, তখনও সেই ব্যাপারেও তারা প্রকাশ্যে আমেরিকাবিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রাখে। এটা অতীতেও বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ইরান ক্যাবলেও দেখা গেছে।
পরে এক সময় বিস্তারিত লিখব ইনশাআল্লাহ।