গত দেড় দশক ধরে প্রকাশ্যে ইসলাম পালনের জন্য – অর্থাত্ দাড়ি রাখা, হিজাব পরা বা অন্যান্য প্র্যাকটিস করার জন্য যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছ থেকে বা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, বিভিন্ন প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, বা জঙ্গি ট্যাগসহ বিভিন্ন হুমকি পেয়েছেন, তাদের উচিত এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া।
আপনি যদি মনে করেন, দেশ তো স্বাধীন হয়েই গেছে, এখন আর এসব নিয়ে ভাবার দরকার নাই, তাহলে সেটা ভুল হবে। কারণ একটা বড় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই অনেকগুলো ছোট ছোট যুদ্ধ শুরু হয়। এটা হয় মিত্র শক্তিগুলোর মধ্যে আদর্শিক ভিন্নতার কারণে। এবং সেই সাথে এই শক্তিগুলোর কোনো একটার সাথে পরাজিত শক্তির নতুন করে হওয়া অ্যালায়েন্সের কারণে।
বাংলাদেশেও স্বৈরাচারবিরোধী যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর যে দ্বন্দ্বটা প্রকট হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে, সেটা হচ্ছে ইসলামপন্থীদের সাথে বামপন্থীদের এবং সো কলড প্রগতিশীলদের দ্বন্দ্ব। এই মুহূর্তে গণজোয়ারের কারণে তারা হয়তো চুপ আছে, কিন্তু নিশ্চিত থাকতে পারেন, শীঘ্রই তারা আবারও উঠে দাঁড়াবে।
বাম এবং প্রগতিশীলরা আগেও আওয়ামী লীগের আদর্শিক মিত্র ছিল এবং ভবিষ্যতেও আওয়ামী শক্তি এদের মাধ্যমেই ফিরে আসার চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার হয়ে ওঠার পথে প্রধান একটা অস্ত্র ছিল ওয়ার অন টেররের ন্যারেটিভকে শক্তিশালী করা এবং বাম-প্রগতিশীল-ইসলামবিদ্বেষী এলিমেন্টগুলোকে সেগুলো প্র্যাকটিস করতে দেওয়া।
আমরা যদি ভবিষ্যতে ইসলাম পালনের অধিকার, প্রকাশ্যে ইসলাম পালনের কারণে নাগরিক অধিকার হারানোর ঝুঁকি না নিতে চাই, তাহলে এখন থেকেই সেই অধিকার রক্ষার ব্যাপারে আমাদেরকে সক্রিয় হতে হবে। এবং এগুলো করতে হবে আইনগতভাবেই। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনগুলোরও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।