ভিডিও

  • ইউটিউবে মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহার ফিলিস্তিন সংক্রান্ত ভিডিওসমূহ
    বিশ্ব রাজনীতি,  ভিডিও

    ফিলিস্তিন নিয়ে আমার ভিডিওসমূহ

    আমি সাধারণত লেখালেখিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু এবারের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চোখের সামনে এত প্রপাগান্ডা, এত ভ্রান্ত ধারণা, এত অযৌক্তিক প্রত্যাশা আসতে শুরু করেছে যে, সেগুলোর জবাব দেওয়ার জন্য আমাকে ভিডিওর দিকেই ফিরে যেতে হলো।

    কারণ প্রথমত, ভিডিওর দর্শক বেশি। আর দ্বিতীয়ত, লেখা দীর্ঘ হলে অনেকে পুরোটা পড়ে না; কিন্তু সেই তুলনায় অনেক দীর্ঘ ভিডিও-ও মানুষ এক বসায় দেখে ফেলে।

    সেজন্যই আমি গত এক মাস ধরে সপ্তাহে দুই-তিনটা করে ভিডিও বানিয়ে এসেছি। দুটো পডকাস্টও হোস্ট করেছি। দেরি যেন না হয়, সেজন্য এডিটিং এবং স্ক্রিপ্টিং বাদ দিয়ে একবারেই রেকর্ড করেছি। সেজন্য উপস্থাপনার কোয়ালিটি হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু কন্টেন্টের কোয়ালিটি সর্বোচ্চই রাখার চেষ্টা করেছি।

    ভিডিওগুলো দেখতে পারেন। অথবা বলা ভালো, শুনতে পারেন। ভালো লাগলে ইউটিউব চ্যানেলটা সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। আর কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।

    আমার ফিলিস্তিন বিষয়ক সকল ভিডিওর প্লেলিস্ট:

    আর ফিলিস্তিন বিষয়ে আমার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও:

  • বাদশাহ ফয়সাল, প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং হেনরি কিসিঞ্জার
    Featured,  বিশ্ব রাজনীতি,  ভিডিও

    বাদশাহ ফয়সাল কেন পেট্রোডলার চালু করেছিলেন?

    ১৯৭৩ সালটা ছিল মুসলমানদের জন্য, বা অ্যাকচুয়ালি আরবদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বছর। এই বছর একইসাথে দুইটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটে। এর একটা অবশ্য আরেকটার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।

    প্রথমত, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ ২৫ বছর পর এই বছরই প্রথমবারের মতো আরবরা তাদের বিরুদ্ধে প্রথম সীমিত আকারে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়।

    আর দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার সাহায্যের প্রতিবাদে তেল উৎপাদনকারী আরব রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, দাম বাড়িয়ে দেয়, এবং আমেরিকার কাছে তেল বিক্রি করা বন্ধ করে দেয়।

    সিদ্ধান্তটা সবগুলো আরব দেশ মিলেই নিয়েছিল। ইনফ্যাক্ট লিবিয়া এবং ইরাক ওপেকের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের একদিন আগে নিজেদের উদ্যোগেই আমেরিকার উপর তেল অবরোধ দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সৌদি আরবই যেহেতু বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ, এবং ওপেকের মধ্যে সৌদি আরবের প্রভাবই যেহেতু সবচেয়ে বেশি, তাই ওপেকের সম্মিলিত সিদ্ধান্তটি সৌদি আরবের নেতৃত্বেই গৃহীত হয়।

    বিস্তারিত দেখুন ইউটিউব ভিডিওতে:

  • পেট্রোডলারের মৃত্যু, পেট্রোডলারের ভবিষ্যত শেষ
    বিশ্ব রাজনীতি,  ভিডিও

    পেট্রোডলারের দিন শেষ? পেট্রো-ইউয়ানের রাজত্ব শুরু?

    খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ঘটনা ঘটেছে গত সপ্তায় – সৌদি আরব বলেছে, তারা চীনের কাছে তাদের তেলের একটা অংশ ইউএস ডলারে তথা পেট্রোডলার-এ বিক্রি না করে বরং চাইনিজ মুদ্রা ইউয়ানে বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে।

    নিউজটা খুবই ইন্টারেস্টিং। কারণ একদিকে কয়েক বছর ধরেই সৌদি আরবের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে, অন্য দিকে চীনের সাথে তাদের সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। ওদিকে চীন আবার আমেরিকাকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বের নতুন অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।

    এরকম পরিস্থিতিতে সৌদি আরব যদি আসলেই এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয় – পেট্রোডলার থেকে বেরিয়ে এসে পেট্রোইউয়ানের দিকে ঝুঁকে পড়ে, তাহলে ডলারের ভবিষ্যতটা কী হবে? এটাই কি হবে ইউএস ডলারের ‘দ্য বিগিনিং অফ দ্য এন্ড’? এর মাধ্যমেই কি পেট্রোডলার এবং সেই সাথে বিশ্বের উপর মার্কিন আধিপত্যের অবসান ঘটবে?

    নাকি এটা জাস্ট সৌদি আরবের একটা ব্লাফ? আমেরিকার উপর চাপ সৃষ্টি করার একটা প্রচেষ্টা? যদি সেটাই হয়ে থাকে, তাহলে এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরব আসলে কী অর্জন করতে চাইছে?

    এই ব্যাপারগুলো নিয়েই আজকের আর্টিকেল। তবে স্বাভাবিকভাবেই এটা শুধুমাত্র অর্থনীতি বিষয়ক আলোচনা হবে না। এর সাথে প্রাসঙ্গিকভাবেই উঠে আসবে ইতিহাস এবং রাজনীতি – পেট্রোডলারের ইতিহাস, সৌদি-আমেরিকা সম্পর্ক, সৌদি-ইরান দ্বন্দ্ব ইত্যাদি।

    বিস্তারিত দেখুন ইউটিউব ভিডিওতে:

  • লেবানিজ শিল্পী ফাইরুজ এর গান লি বাইরুত
    ভিডিও

    ফাইরুজের লি বাইরুত

    ফাইরুজ নামটা কেন যেন বাংলাদেশে একটু কম পরিচিত। উম্মে কুলসুমকেই মানুষ বেশি চেনে। কিন্তু আরব বিশ্বে, বিশেষ করে লিবিয়াতে ফাইরুজের গানের জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া। এখানকার অনেকগুলো রেডিও স্টেশনই সকালে কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে ওপেন করার পর নিয়ম করে আধ ঘন্টা পর্যন্ত ফাইরুজের গান বাজায়, উম্মে কুলসুমের গান না।

    ফাইরুজের গানের প্রতি আমার এক ধরনের ফ্যাসিনেশন আছে। ২০১৩ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেরুনোর পর যখন নতুন চাকরিতে যোগ দেই, তখন পোস্টিং ছিল সিরতের গার্বিয়াত সাইটে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বসের গাড়িতে করে সাইটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতাম।

    রাতে দেরিতে ঘুমাতাম বলে গাড়ির ২০-২৫ মিনিটের যাত্রা পুরোটাই কাটত তন্দ্রাচ্ছন্নভাবে। আর সে সময় এফএম রেডিওতে ফাইরুজের গান শুনতে শুনতে এক ধরনের ঘোরের মধ্যে চলে যেতাম। এরপর সারাদিন সেই সুর আর কথাই কানে বাজত।