Io Capitano (2023)। গত বছরের বেস্ট মুভিগুলোর মধ্যে একটা।
দুই সেনেগালিজ তরুণ পরিবারকে না জানিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে, যেন টাকা জমিয়ে ইউরোপে যেতে পারে। লুকিয়ে লুকিয়ে – কারণ ইউরোপের পথ এত বিপদসঙ্কুল যে তাদের কারও পরিবার তাদেরকে ঐ পথে যাত্রা করতে দিতে রাজি হবে না।
কিছু পরিমাণ টাকা জমার পর একদিন সত্যি সত্যিই তারা কাউকে না জানিয়ে বেরিয়ে পড়ে। শুরু হয় তাদের দীর্ঘ জার্নি। মালি, নাইজার আর লিবিয়া হয়ে, মিলিশিয়াদের হাতে কিডন্যাপিং আর টর্চারের শিকার হয়ে, ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর সাথে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত কি তারা ইতালিতে পৌঁছতে পারবে?
ইতালি যাওয়ার পথে প্রতি বছরই তিন-হাজার মানুষ মারা যায়। এদের বড় একটা অংশই মধ্য আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের। ট্রলারডুবিবির সংবাদগুলো মিডিয়াতে আসলেও ট্রলারে ওঠার আগেই তাদেরকে যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়, সেখানেই যে কত মানুষ সাহারার বুকে খাবার-পানি না পেয়ে, মিলিশিয়াদের নির্যাতনে মারা যায়, সেই নিউজগুলো কোথাও আসে না।এই মুভিটা সেই প্রায় অজানা দিকটাই তুলে ধরেছে।
মুভিটা ইতালিয়ান, তবে ভাষাটা সেনেগালের উলুফ। এছাড়াও ফ্রেঞ্চ এবং লিবিয়ান আরবিও ব্যবহৃত হয়েছে। মুভিতে লিবিয়ান মিলিশিয়াদের হাতে নির্যাতনের মাত্রাটা একটু বেশি দেখানো হয়েছে, সেই তুলনায় জাহাজে ওঠার পর জার্নিটাকে বেশ সহজ দেখানো হয়েছে।
বাস্তবে লিবিয়ান মিলিশিয়ারা প্রচণ্ড নির্যাতন করলেও, নির্দয়ভাবে পেটালেও মুভিতে যেভাবে দেখিয়েছে, সেরকম বর্ণনা পাইনি। অন্যদিকে বাস্তবে জাহাজগুলোতে আরও অনেক বেশি ভিড় থাকে।
তবে সব মিলিয়ে এই মুভিটা দারুণ। এ বছর অস্কারে বেস্ট পিকচার নমিনেশন পেয়েছে। টিপিক্যাল অ্যাকশন-থ্রিলারের বাইরে ভালো কোনো মুভি দেখতে চাইলে এটা হাইলি রেকমেন্ডেড।
আমার লেখা সবগুলো মুভি রিভিউ পড়তে চাইলে ক্লিক করুন এখানে।