প্রিন্স সুলতান বিন তুর্কি এর আগেও একবার কিডন্যাপ হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে। সে সময় তাকে কিডন্যাপ করেন তার চাচাতো ভাই, সৌদি রাজপুত্র আব্দুল আজিজ বিন ফাহাদ। মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৬ সালে তিনি আবারও প্রায়ই একই পদ্ধতিতে দ্বিতীয়বার কিডন্যাপ হন। এবার তাকে কিডন্যাপ করেন তার আরেক চাচাতো ভাই, আরেক রাজপুত্র, মোহাম্মদ বিন সালমান!
সম্পূর্ণ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে রোর বাংলায়। পড়তে পারেন এখান থেকে। নিচে চুম্বক অংশ দেওয়া হলো:
যথাসময়ে সৌদি আরব থেকে ১৮৯ জন যাত্রী-ধারণ ক্ষমতাবিশিষ্ট একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এসে প্যারিসে হাজির হয় প্রিন্স সুলতানকে কায়রোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী, কয়েকজন সহকারী এবং মডেলিং এজেন্সির সরবরাহ করা একজন “গার্লফ্রেন্ড”সহ প্রায় এক ডজন সঙ্গী নিয়ে ২০১৬ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করেন সুলতান।
শুরু থেকেই প্লেনের ভেতরের পরিবেশ ছিল কিছুটা সন্দেহজনক। ১০ জন ক্রুকে পেছনে রেখে যাওয়া সত্ত্বেও প্লেনের ক্রু ছিল ১৯ জন, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। সৌদি রাজকীয় প্লেনগুলোর নিয়মিত দৃশ্য, উন্মুক্ত পায়ের সোনালি চুলের ইউরোপিয়ান সুন্দরী ক্রুরা ছিল অনুপস্থিত। তাদের পরিবর্তে ১৯ জন ক্রুর সবাই ছিল শক্তসমর্থ পুরুষ, যাদেরকে পেশাদার ক্রুর পরিবর্তে নিরাপত্তাকর্মী বলেই বেশি মনে হচ্ছিল।
প্লেনের পাইলট, ক্যাপ্টেন সৌদ ছিলেন অত্যন্ত অমায়িক এবং হাসিখুশি। কিন্তু সুলতানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজনের প্লেন চালানোর প্রশিক্ষণ ছিল। তার সন্দেহ হতে থাকে, পাইলটের বেশ ধরে থাকলেও ক্যাপ্টেন সৌদ সম্ভবত আসলে পাইলট না। কারণ তার কথাবার্তা মোটেও পাইলটসুলভ ছিল না। একজন পাইলটের যেসব মৌলিক বিষয় জানার কথা, সেগুলোও তিনি জানতেন না।
নিরাপত্তা-কর্মীরা সুলতানকে সাবধান করেন: চলুন ফিরে যাই, এটা ফাঁদ। কিন্তু সুলতান তাদের কথায় পাত্তা দেননি। দীর্ঘদিন পর তিনি কায়রোতে গিয়ে বাবার সাথে দেখা করতে উন্মুখ ছিলেন। তাছাড়া প্লেনটা পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং বাদশাহপুত্র মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি তাকে সম্প্রতি ২ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এটা কেন ফাঁদ হতে যাবে? মোহাম্মদ বিন সালমান একই রকম কিডন্যাপিংয়ের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটিয়ে রাজপরিবারের সুনাম নষ্ট করার ঝুঁকি কেন নিতে যাবে? …
বাকিটুকু পড়ুন এখান থেকে। আর আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে আমার সবগুলো লেখা পড়তে পারেন এখান থেকে।