-
স্পাই স্টোরি: যে হানি ট্র্যাপ অপারেশন পাল্টে দিয়েছিল বিশ্বযুদ্ধের গতি!
১৯৪২ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়। সমরাঙ্গনের পাশাপাশি সমান তালে যুদ্ধ চলছে কূটনৈতিক অঙ্গনে, এসপিওনাজ জগতে, এমনকি বিনোদন জগতেও। মরক্কোর ক্যাসাব্লাঙ্কা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্ষমতাসীন ফরাসি কর্তৃপক্ষ এবং নাৎসি বাহিনীর মধ্যকার উত্তেজনার পটভূমিতে গড়ে ওঠা প্রেমকাহিনী নিয়ে হলিউড নির্মাণ করছে “ক্যাসাব্লাঙ্কা” নামক চলচ্চিত্র।
জুনের ২১ তারিখে, অভিনেতা হামফ্রে বোগার্ট এবং অভিনেত্রী ইনগ্রিড বার্গম্যান যখন হলিউডের ক্যালিফোর্নিয়া স্টুডিওতে ক্যাসাব্লাঙ্কা শহরের সেটিংয়ে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সে সময় ওয়াশিংটনের নাৎসি জার্মানি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ভিশি-ফ্রেঞ্চ সরকারের দূতাবাসের ভেতরে গোপন এক হানি ট্র্যাপ অপারেশন পরিচালনা করছিলেন ব্রিটিশ-আমেরিকান স্পাই, বেটি প্যাক। আর তার অপারেশনের লক্ষ্য ছিল আসল ক্যাসাব্লাঙ্কা শহর জয় করা!
-
ফেসবুক সেলিব্রেটি স্লিপার এজেন্ট
একটা খুবই সিম্পল কমনসেন্সের কথা বলি। টপিক: স্লিপার এজেন্ট অথবা ডীপ আন্ডারকভার ডাবল এজেন্ট।
ব্লগে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন, তারা লক্ষ্য করে থাকবেন, এমন কিছু আইডি বা পেজ থাকে, যারা কোনো একটা দলের লোক সেজে সেই দলের জন্য ড্যামেজিং কথাবার্তা প্রচার করে।
ফেসবুকে অবশ্য এখন স্যাটায়ারিক্যাল পেজের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় ব্যাপারটা খেলো হয়ে গেছে। কিন্তু পাঁচ-সাত বছর আগেও এমন অনেক পেজ ছিল, যেগুলো মূলত বিএনপির নামে আওয়ামী লীগ দ্বারা, বা আওয়ামী 犀利士 লীগের নামে বিএনপি দ্বারা পরিচালিত।
(more…) -
স্পাই স্টোরিজে শুধু সিআইএ-মোসাদেরই কাহিনী কেন?
এই প্রশ্নটা আমাকে বেশ কয়েকজন করেছে – স্পাই স্টোরিজ পড়তে ভালো লেগেছে, কিন্তু শুধু সিআইএ-মোসাদের গল্পই কেন? মুসলমান রাষ্ট্রগুলোর গোয়েন্দাদের এরকম কোনো গল্প পাওয়া যায় না?
উত্তর হচ্ছে, আসলেই পাওয়া যায় না। এর কয়েকটা কারণ আছে।
প্রথমত, আমি যে সময়টার গল্প বলতে চেয়েছি, অর্থাৎ আধুনিক সময়ের, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরের বিশ্বের, এ সময় দুর্ভাগ্যবশত মুসলমানরা কেবল পরাজিতই হয়েছে। আর রাজনৈতিক বা সামরিক জয়-পরাজয়ের সাথে ইন্টালিজেন্সের সরাসরি সম্পর্ক থাকে।
-
দেওয়ান চাঁদ মালিক: র-এর অভ্যন্তরে বাংলাদেশী স্পাই!
বিদেশী স্পাইদের কাহিনী তো অনেক শুনেছেন। এক বাংলাদেশী স্পাইর কাহিনী শুনবেন?
তার নাম দিওয়ান চাঁদ মল্লিক। অথবা দেওয়ান চাঁদ মালিক। ইংরেজিতে বানান কোথাও Diwan Chand Mallick, কোথাও Dewanchand Malik।
তার জন্ম বাংলাদেশে, কিন্তু তিনি পড়াশোনা করেছেন কলকাতায়। এবং পড়াশোনা শেষে ১৯৯৯ সালে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা R&AW তথা Research and Analysis Wing-এ যোগ দেন।
-
মুসা (আ) এর ১২ গুপ্তচর: বিশ্বের সর্বপ্রথম গোয়েন্দাগিরির ইতিহাস
ইতিহাসের প্রথম গুপ্তচর কে ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। চাইনিজ সমরবিদ সান জু এবং ভারতীয় দার্শনিক চাণক্যের লেখায় গুপ্তচরবৃত্তির কৌশল সম্পর্কে জানা যায়। কিন্তু এগুলো মাত্র ২,৪০০ থেকে ২,৫০০ বছর আগেকার কাহিনী।
তাদের আগে কি গুপ্তচরবৃত্তি ছিল না? নিশ্চয়ই ছিল। লিখিত ইতিহাস পাওয়া না গেলেও মানব সভ্যতার আদিকাল থেকেই গুপ্তচরবৃত্তির চল থাকার কথা।
লিখিত আকারে বিশ্বের প্রাচীনতম গুপ্তচরদের সন্ধান পাওয়া যায় ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত তথা ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রথম পাঁচটি বইয়ের চতুর্থ বইয়ে। এবং সরাসরি না হলেও মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনেও পরোক্ষভাবে এই কাহিনীর ইঙ্গিত দেওয়া আছে।
-
ডেড ড্রপ: গুপ্তচরদের অতি প্রয়োজনীয় কৌশল
ডেড ড্রপ (Dead Drop) হচ্ছে একটা স্পাই রিলেটেড টার্ম। গুপ্তচরদের মধ্যে পারস্পরিক সাক্ষাৎ ছাড়াই তথ্য বা জিনিসপত্র আদান-প্রদানের পদ্ধতির নাম ডেড ড্রপ।
যখন কোনো স্পাই কারো সাথে সরাসরি দেখা করে তার হাতে কোনো তথ্য বা প্যাকেজ তুলে দেয়, তখন সেটাকে বলা হয় লাইভ ড্রপ। কিন্তু এতে যেকোনো একজনের উপর নজরদারি থাকলেই অপরজনেরও ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফলে লাইভ ড্রপের পরিবর্তে ডেড ড্রপই এসপিওনাজ জগতে বেশি জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে প্রথমে একজন স্পাই সবার অলক্ষ্যে পূর্বে থেকে নির্ধারিত কোনো স্থানে প্যাকেজটি রেখে আসে, এরপর অন্যজন সুবিধামতো সময়ে গিয়ে সেটি উদ্ধার করে আনে।
ডেড ড্রপ পদ্ধতিতে ফেলে আসা প্যাকেজটি যেন রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ না করে, সেজন্য প্রায় সময়ই সেটিকে বিভিন্ন ছদ্মবেশ দেওয়া হয়।
যেমন হতে পারে প্রথম স্পাই কোনো পার্কের নির্দিষ্ট একটা গাছের গোড়ায় একটা কাঠের টুকরা ফেলে আসলো, এরপর দ্বিতীয় স্পাই নির্দিষ্ট সময় পর সেই কাঠের টুকরাটা উঠিয়ে নিয়ে চলে আসলো।
কিন্তু সেই কাঠের টুকরাটা আসলে সাধারণ কোনো টুকরাটা না। হতে পারে সেটার ভেতরটা ফাঁপা এবং কোনোভাবে সেটা খুলতে পারলেই দেখা যাবে সেখানে আছে গোপন সব তথ্য, স্পাইক্র্যাফট অথবা অন্য কোনো সাপ্লাই।
-
স্পাই স্টোরিজ PDF ফ্রি ডাউনলোড!