-
ইনসাইড দ্য ব্যাটেল অফ আলজিয়ার্স: দুঃসাহসী নারী গেরিলা জোহরা দ্রিফ এর আত্মজীবনী
ঔপনিবেশিক ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিশেষ করে এই যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সের যুদ্ধের উপর নির্মিত দ্য ব্যাটেল অফ আলজিয়ার্স (The Battle of Algiers) সিনেমাটা হয়তো অনেকেই দেখেছেন। ঐ সিনেমায় যে তিন নারী গেরিলাকে দেখানো হয়েছিল, জোহরা দ্রিফ (Zohra Drif) ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। ইনসাইড দ্য ব্যাটেল অফ আলজিয়ার্স (Inside the Battle of Algiers: Memoir of a Woman Freedom Fighter) নামের এই বইটা তারই আত্মজীবনী।
বইটার ভূমিকা লিখেছেন বিখ্যাত কূটনীতিক লাখদার ব্রাহিমি, যিনি আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্বকালীন সময়ে ভার্সিটিতে জোহরার সহপাঠী ছিলেন। লাখদার ব্রাহিমি ছিলেন এক সময় আলজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সিরিয়ার যুদ্ধের সময় সিরিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের এবং আরব লীগের বিশেষ দূত। বইটার ইংরেজি অনুবাদ করেছেন Farrand G. Andrew।
-
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ: কিছু নির্মোহ পয়েন্ট
পড়লাম বহুল আলোচিত-সমালোচিত বই – আরিফ আজাদের প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ম পর্ব। এটাকে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদের ঠিক রিভিউ বলা যাবে না, এটা জাস্ট আবেগ বর্জিত কয়েকটা পয়েন্টে আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া:
১। বইয়ের কয়েকটা চ্যাপ্টার বেশ ভালো। বিশেষত যেসব চ্যাপ্টারে বিজ্ঞান নেই, শুধু দর্শন আছে, সেগুলো ভালো। সবচেয়ে ভালো সেসব অধ্যায়, যেগুলোতে কুরআনের মোজেজা বা কুরআন সম্পর্কে নাস্তিকদের সিলি প্রশ্নের জবাব তুলে ধরা হয়েছে। যেমন জুলকারনাইনের পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্যাস্ত, নারী মৌমাছি, মুসা (আ) বনাম ইউসুফ (আ) এর বাদশাহ টাইটেল এগুলো।
এগুলো অবশ্য জানা বিষয়। আরিফ আজাদ নিজে আবিষ্কার করেননি, সেটা তিনি দাবিও করেননি। কোনো টপিকের উপর বিভিন্ন স্থানে থাকা তথ্য নিজের ভাষায় লিখে, একত্রিত করে বই প্রকাশ করাটাও কৃতিত্বের কাজ। আর আমরা যারা ব্লগে বিচরণ করে বড় হয়েছি, তাদের কাছে এগুলো জানা হলেও নতুন পাঠকদের অনেকের কাছেই অজানা হতে পারে। তারা এই টপিকগুলো থেকে উপকৃত হবে।
-
সাদাত হোসাইনের আরশিনগর: পাঠ প্রতিক্রিয়া
জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক সাদাত হোসাইনের আরশিনগর উপন্যাসটা পড়লাম। খুবই ভালো লেগেছে। পাঠ প্রতিক্রিয়া হিসেবে এক কথা বলা যায়, যতটা আশা করেছিলাম, সাদাত হোসাইন তার চেয়েও বেশি তুষ্ট করতে পেরেছেন।
সাদাত হোসাইনের ভাষা পুরোপুরি সাবলীল না। তার বর্ণনায় বাহুল্য আছে। আরশিনগর উপন্যাসে বাক্যের শেষে খণ্ডিত বাক্যাংশের পুনরাবৃত্তি করার স্টাইলটা খুবই বিরক্তিকর। যেমন: “সে খুব কাঁদল। খুব।” এক উপন্যাসে কয়েকশো বার “মানবজনম” শব্দটার ব্যবহারও বিরক্তিকর।
কিন্তু এসব ইগনর করতে পারলে তার কাহিনীর বুনন অসাধারণ। বিশাল কলেবরে প্রচুর চরিত্র নিয়ে সমান্তরালে অনেকগুলো কাহিনী তিনি দাঁড় করিয়েছেন। শুরুরদিকে আপাত সম্পর্কহীন চরিত্রগুলোকে পরবর্তীতে এক বিন্দুতে নিয়ে এসেছেন। হুমায়ূন আহমেদদের হাত ধরে আমরা ৬০-৭০ পৃষ্ঠার গল্পকেই যে উপন্যাস বলে ভাবতে শিখেছিলাম, সাদাত হোসাইন এবং এ জাতীয় আরও কিছু নতুন লেখক সেটা ভেঙ্গে দিচ্ছেন।
-
প্রেসিডেন্ট মুরসি: যে বইয়ে স্থান পেয়েছে আমার দুটি লেখা
মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির স্মরণে প্রচ্ছদ প্রকাশন একটি বই প্রকাশ করেছে। “প্রেসিডেন্ট মুরসি: আরব বসন্ত থেকে শাহাদাত” শিরোনামের বইটি ঠিক সেই অর্থে মুরসির জীবনী না। এতে মূলত মুরসির জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর, বিশেষ করে তার রাষ্ট্রপ্রতিত্বের সময়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। বইটিতে আমার দুটি লেখাও স্থান পেয়েছে।
বইটিতে মোট ১৬টি লেখা আছে, মৌলিক এবং অনুবাদ মিলিয়ে। মৌলিক লেখকদের দুজন পরিচিত লেখক আছেন – ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী এবং ফেসবুকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক লেখক, মিসর প্রবাসী মোহাম্মদ নোমান ভাই।
-
মোহাম্মদ মুরসির অভিষেক
প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মুরসির অভিষেক অনুষ্ঠানটি তার জন্য এর চেয়ে বেশি অপমানজনক হওয়া সম্ভব ছিল না।
নির্বাচনের দিন রাতে মুরসি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি বিলুপ্ত পার্লামেন্টকে পুনর্বহাল করবেন এবং সেই পার্লামেন্টের সামনেই শপথ গ্রহণ করবেন। কিন্তু মিলিটারি কাউন্সিল তাকে তার প্রতিজ্ঞা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে। অভিষেক অনুষ্ঠানের পূর্বে দুইজন জেনারেল টেলিভিশনে এক যৌথ বিবৃতিতে প্রতিজ্ঞা করেন, সামরিক বাহিনী সর্বদাই ব্যাপক ক্ষমতা সহকারে সরকারের পেছনে থেকে “বিশ্বস্ত অভিভাবক” হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাবে।
কী ধরনের “অভিভাবক”?
“আপনার যেভাবে খুশি ব্যাখ্যা করে নিন”, জানিয়েছিলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল-আসার।