
আমাজিঘ: উত্তর আফ্রিকার বঞ্চিত আদিবাসী মুক্ত মানবেরা
উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর আরবি ভাষাভাষী জনগণকে নিয়ে অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন আছে- তারা কি আফ্রিকান, নাকি আরব? ভৌগলিক দিক থেকে উত্তর আফ্রিকা পরিষ্কারভাবেই আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। সেদিক থেকে এর আরবি ভাষাভাষী জনগণও আফ্রিকান। কিন্তু জাতিগত দিক থেকে?
জাতিগত দিক থেকে উত্তর আফ্রিকার জনগণের এক অংশ নিঃসন্দেহে আরব। সপ্তম শতকে ইসলাম প্রচারের জন্য আরবরা যখন উত্তর আফ্রিকায় অভিযান চালায়, তারপর থেকে তাদের অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলে। কালক্রমে ব্যবসায়িক এবং প্রশাসনিক কারণেও আরব উপদ্বীপ থেকে অনেকে উত্তর আফ্রিকায় পাড়ি জমায়। বর্তমানে উত্তর আফ্রিকার জনগণের একটা অংশ তাদেরই বংশধর।
কিন্তু এই অংশটা কম। মরক্কো, আলজেরিয়াসহ উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বর্তমানে যে বিপুল সংখ্যক আরবি ভাষাভাষী জনগণ বসবাস করে, তাদের অধিকাংশই আরবদের বংশোদ্ভূত আরব না। তারা মূলত আরবিকৃত স্থানীয় জনগোষ্ঠী। কালের আবর্তনে তারা আরবি ভাষা এবং সংস্কৃতি গ্রহণ করে আরব হয়ে গেছে। উত্তর আফ্রিকার এই স্থানীয় জনগোষ্ঠী, যারা আরবদের আগমনের পূর্বে হাজার হাজার বছর ধরে এই ভূমিতে বসবাস করে আসছিল, এরাই আমাজিঘ (Amazigh, বিকল্প বাংলা বানান আমাজিগ) নামে পরিচিত।
উত্তর এবং পশ্চিম আফ্রিকার দশটি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই আমাজিঘরা এসব এলাকায় বসবাস করে আসছে অন্তত ১০,০০০ বছর ধরে। যুগে যুগে বিভিন্ন জাতি এবং সভ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করে তারা আজও টিকে আছে তাদের নিজস্ব ভাষা এবং সংস্কৃতির স্বকীয়তা নিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায় প্রতিটি দেশে তারা আজও অবহেলিত, বঞ্চিত এবং অস্বীকৃত। এমনকি নিজেদের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের অধিকার, নিজেদের নববর্ষ পালনের অধিকারের জন্যও তাদেরকে সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে …
আমাজিঘদের ইতিহাস, যুগে যুগে তাদের সংগ্রাম, আরব মুসলমানদের সাথে তাদের জটিল সম্পর্ক, তাদের পতাকা, ক্যালেন্ডার, নববর্ষসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন রোর বাংলার এই লিঙ্ক থেকে।

