দুষ্টু লোকেরা অভিযোগ করে, স্যার মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিতু আর তার বন্ধুরা (১৯৯৯) বইটা নাকি Matilda (1996) মুভির নকল। শুধু মূলভাবটা না, সিন বাই সিন নাকি নকল।
এ কথা সত্য, নিতু আর তার বন্ধুরা বইয়ের মতো মাতিল্দা মুভিতেও বদমেজাজি, অত্যাচারী প্রিন্সিপাল থাকে। মুভিতে মাতিল্দা প্রিন্সিপালকে শায়েস্তা করার জন্য তার পানির গ্লাসে টিকটিকি ছেড়ে দেয়। আর বইয়ে নিতু খোরাসানি ম্যাডামের বিছানায় মাকড়শা ছেড়ে দেয়।
মুভিতে মাতিল্দার টেলিকাইনেটিক পাওয়ার থাকে, যা দিয়ে সে প্রিন্সিপালকে ভয় দেখায়। বইয়ে নিতু তার গলার ফ্রিকোয়েন্সিকে কাজে লাগিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে খোরাসানি ম্যাডামের মাথার উপর ফেলে।
মুভিতে মিস হানি নামের এক সুন্দরী টিচারের সাথে মাতিল্দার বন্ধুত্ব হয়, তারা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একত্রে জোট বাঁধে। বইয়ে শান্তা আপা নামের এক সুন্দরী টিচারের সাথে নিতুর বন্ধুত্ব হয় এবং তারা খোরাসানি ম্যাডামের বিরুদ্ধে জোট বাঁধে।
মুভিতে প্রিন্সিপালের রুম থেকে কিছু একটা উদ্ধার করতে গিয়ে মাতিল্দা আটকা পড়ে এবং লুকিয়ে প্রিন্সিপালের ষড়যন্ত্র শুনে ফেলে। বইয়ে নিতু খোরাসানি ম্যাডামের রুমে আত্মগোপন করা অবস্থায় খাটের নিচে লুকিয়ে তার সব ষড়যন্ত্র শুনে ফেলে।
আমি শিওর খুঁজলে আরও মিল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু মিলই কী সব? সিন বাই সিন মিল থাকলেই কি সেটাকে নকল বলতে হবে? দুনিয়াতে কি কাকতালীয় নামে কোনো জিনিস নাই?
যদি না-ই থাকে, তাহলে ১৯৯৯ সালে স্যারের লেখা নিতু আর তার বন্ধুরা বইয়ের বুতুরুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কীভাবে ২০২১ সালের ভিকারুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালের মতো একই ভাষায় গালাগালি করে? এটাও কি নকল?
আপনারা কি বলতে চান, স্যার তার সায়েন্স ফিকশন মুভি, স্যরি মানে, সায়েন্স ফিকশন গল্পগুলোর মতো টাইম ট্রাভেল করে ২০২১ সাল থেকে ঘুরে গিয়ে বইটা লিখেছিল? হ্যাঁ?
আমার লেখা সবগুলো স্যাটায়ার পড়তে ক্লিক করুন এখানে। আর বই বিষয়ক আমার সবগুলো লেখা পড়তে ক্লিক করুন এখানে।