![](https://mhtoha.com/wp-content/plugins/phastpress/phast.php/c2VydmljZT1pbWFnZXMmc3JjPWh0dHBzJTNBJTJGJTJGbWh0b2hhLmNvbSUyRndwLWNvbnRlbnQlMkZ1cGxvYWRzJTJGMjAyMSUyRjA1JTJGU2VlaW5nLUJyaWRlLmpwZyZjYWNoZU1hcmtlcj0xNzE0MDc5NDk2LTQ0MzQ0JnRva2VuPTJmMThhOTMwMzhiNWJkMzk.q.jpg)
তথাকথিত আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাঙালির হাজার বছরের অনেক ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে বসেছে। সময় থাকতেই এগুলোকে ফিরিয়ে আনা উচিত।
যেমন ধরুন পাত্রী দেখতে যাওয়ার ব্যাপারটা। হাজার বছর ধরে বাঙালির ঐতিহ্য ছিল, পাত্রী দেখতে গেলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তার চুল, দাঁত, গায়ের রং খেয়াল করা। এরপর আদুরে গলায় বলা – একটু হেঁটে দেখাও তো মা! স্লেচ্ছদেশীয় সংস্কৃতির প্রভাবে সেসব ঐতিহ্য এখন কেবলই স্মৃতি।
নাহ, আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি মোটেও এই ঐতিহ্যকে হুবহু ফিরিয়ে আনতে বলছি না। আমি শুধু বলছি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ঐতিহ্যটাকে একটু আপডেট করতে। এবং যেহেতু আমি মোটেও নারীবিদ্বেষী না, বরং কিঞ্চিত স্বঘোষিত সুশীল নারীবাদী, তাই এক্ষেত্রেও আমি নারী-পুরুষের সমানাধিকারে বিশ্বাসী।
আমার প্রস্তাব, পাত্রী দেখতে যাওয়ার পর আর কিছু না হলেও দুই পক্ষের অভিভাবকদের সম্ভাব্য পাত্রপাত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা উচিত – মা/বাবা, তোমরা একটু ম্যাসেঞ্জারে চ্যাট করে দেখাও তো!
মানে এত আয়োজন করে বিয়ে করবেন, এরপর যদি দেখেন স্পাউস মুরাদ টাকলা, ব্যাপারটা কেমন হবে? এখন লজ্জায় একটু চ্যাট করে দেখাতে বলতে পারবেন না, এরপর বিয়ের পর যখন ম্যাসেজ পাবেন – “babo tome kamon aca?” তখন কিন্তু আমাকে কিছু বলতে পারবেন না। আগেইসাব্ধাঙ্কর্ছিলাম, হুঁহ!
কার্টুন ক্রেডিট: আবু হাসান/ sarabangla.net/