-
ফিলিস্তিন নিয়ে আমার ভিডিওসমূহ
আমি সাধারণত লেখালেখিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু এবারের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চোখের সামনে এত প্রপাগান্ডা, এত ভ্রান্ত ধারণা, এত অযৌক্তিক প্রত্যাশা আসতে শুরু করেছে যে, সেগুলোর জবাব দেওয়ার জন্য আমাকে ভিডিওর দিকেই ফিরে যেতে হলো।
কারণ প্রথমত, ভিডিওর দর্শক বেশি। আর দ্বিতীয়ত, লেখা দীর্ঘ হলে অনেকে পুরোটা পড়ে না; কিন্তু সেই তুলনায় অনেক দীর্ঘ ভিডিও-ও মানুষ এক বসায় দেখে ফেলে।
সেজন্যই আমি গত এক মাস ধরে সপ্তাহে দুই-তিনটা করে ভিডিও বানিয়ে এসেছি। দুটো পডকাস্টও হোস্ট করেছি। দেরি যেন না হয়, সেজন্য এডিটিং এবং স্ক্রিপ্টিং বাদ দিয়ে একবারেই রেকর্ড করেছি। সেজন্য উপস্থাপনার কোয়ালিটি হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু কন্টেন্টের কোয়ালিটি সর্বোচ্চই রাখার চেষ্টা করেছি।
ভিডিওগুলো দেখতে পারেন। অথবা বলা ভালো, শুনতে পারেন। ভালো লাগলে ইউটিউব চ্যানেলটা সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। আর কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
আমার ফিলিস্তিন বিষয়ক সকল ভিডিওর প্লেলিস্ট:
আর ফিলিস্তিন বিষয়ে আমার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও:
-
“গল্পগুলো সিরিয়ার” PDF ফ্রি ডাউনলোড!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে গল্পগুলো সিরিয়ার বইটা ডাউনলোড করতে আসার জন্য। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে – স্যরি ভাই, আপাতত কোনো ডাউনলোড লিঙ্ক দিচ্ছি না। এটা হচ্ছে এপ্রিল ফুল (জ্বী, আজকের তারিখটা ১লা এপ্রিল) বিষয়ক পোস্ট। অথবা বলতে পারেন এপ্রিল ফুল বিষয়ক সচেতনতামূলক পোস্ট। টাইটেলটা জাস্ট ফর অ্যাটেনশন ?
এপ্রিল ফুলের আসল ইতিহাস জানতে চাইলে রোর বাংলায় আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদের এই পোস্ট, সচলায়তনের এই পোস্ট, অথবা মুহাম্মদ সজল ভাইর এই পোস্ট এবং এই পোস্ট পড়ে দেখতে পারেন। তবে সংক্ষেপে ব্যাপারটা হচ্ছে, স্পেনে মুসলমানদের উপর প্রচুর নির্যাতন হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, স্পেনে লাখ লাখ মুসলমানকে (এবং ইহুদীদেরকেও) হত্যা করা হয়েছে – এ সবই সত্য।
-
বাদশাহ ফয়সাল কেন পেট্রোডলার চালু করেছিলেন?
১৯৭৩ সালটা ছিল মুসলমানদের জন্য, বা অ্যাকচুয়ালি আরবদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বছর। এই বছর একইসাথে দুইটা ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটে। এর একটা অবশ্য আরেকটার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।
প্রথমত, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ ২৫ বছর পর এই বছরই প্রথমবারের মতো আরবরা তাদের বিরুদ্ধে প্রথম সীমিত আকারে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়।
আর দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলের প্রতি আমেরিকার সাহায্যের প্রতিবাদে তেল উৎপাদনকারী আরব রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়, দাম বাড়িয়ে দেয়, এবং আমেরিকার কাছে তেল বিক্রি করা বন্ধ করে দেয়।
সিদ্ধান্তটা সবগুলো আরব দেশ মিলেই নিয়েছিল। ইনফ্যাক্ট লিবিয়া এবং ইরাক ওপেকের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের একদিন আগে নিজেদের উদ্যোগেই আমেরিকার উপর তেল অবরোধ দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সৌদি আরবই যেহেতু বিশ্বের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ, এবং ওপেকের মধ্যে সৌদি আরবের প্রভাবই যেহেতু সবচেয়ে বেশি, তাই ওপেকের সম্মিলিত সিদ্ধান্তটি সৌদি আরবের নেতৃত্বেই গৃহীত হয়।
বিস্তারিত দেখুন ইউটিউব ভিডিওতে:
-
মারিয়াম নেওয়াজ এবং তার ফন্ট ক্যালেঙ্কারি
ভদ্রমহিলার নাম মারিয়াম নেওয়াজ। আর ছবিতে যেই ফন্টটা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটার নাম Calibri। পাকিস্তানের রাজনীতির আজকের যেই অবস্থা, তার পেছনে মারিয়ামের এবং এই ক্যালিব্রি ফন্টের বিশাল একটা ভূমিকা আছে।
২০১৬ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের দুর্নীতির প্রমাণ সম্বলিত সিক্রেট ডকুমেন্ট “পানামা পেপার্স” ফাঁস হয়। সেখানে উঠে আসে মারিয়াম এবং তার দুই ভাইয়ের নামও। ফাঁস হওয়া ডকুমেন্ট অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফের ছেলে-মেয়েরা বেনামে বিভিন্ন অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে লন্ডনে কিছু বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেছিলেন, যেন ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া যায়।
এছাড়াও পরবর্তীতে তদন্তে উঠে আসে যে, নওয়াজ শরিফ নিজেও তার ছেলের নামে থাকা এরকম একটি দুবাই ভিত্তিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছিলেন। নির্বাচনের পূর্বে সকল সম্পত্তির তালিকা দেওয়ার যে বিধান আছে, নওয়াজ শরিফ সেখানে এসব সম্পত্তির কথা গোপন করে যান।
-
যে বোকামিতে ধরা পড়তে বসেছিল সিআইএর সেরা অফিসার!
পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিকের ঘটনা। সিআইএ তাদের ইন্টালিজেন্স অফিসার জ্যাক ও’কনেলকে ডীপ আন্ডারকভার এজেন্ট হিসেবে মিসরে প্রেরণ করেছে।
ও’কনেল যখন মিসরের কায়রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এসে পৌঁছেন, তখন গভীর রাত। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে তিনি কায়রোর একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন।
রিজার্ভেশন চেক করার জন্য হোটেলের ক্লার্কের দিকে যখন তিনি তার পাসপোর্ট এগিয়ে দেন, তখন তাকে হতভম্ব করে দিয়ে ক্লার্ক জিজ্ঞেস করে, did you come from CIA? অর্থাৎ, “আপনি কি CIA থেকে এসেছেন?”
ক্লার্কের প্রশ্ন শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ও কনেল – তার পরিচয় কি তাহলে ফাঁস হয়ে গেছে?
(more…)犀利士 > -
মিউনিখ ম্যাসাকার: অপারেশন ইক্রিত ওয়া বিরাম
১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে (৫ সেপ্টেম্বর) সংঘটিত হয়েছিল অপারেশন “ইক্রিত ওয়া বিরাম”। নামটি এসেছে ফিলিস্তিনের দুটি খ্রিস্টান-প্রধান গ্রাম “ইক্রিত” এবং “বিরাম” থেকে, যাদের অধিবাসীদেরকে জায়নিস্টরা ১৯৪৮ সালে উচ্ছেদ করেছিল।
অপারেশনের অধীনে “ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর” নামে একটি ফিলিস্তিনি গেরিলা সংগঠন জার্মানির মিউনিখের অলিম্পিক ভিলেজে ঢুকে পড়ে এবং ১১ জন ইসরায়েলি খেলোয়াড় ও কোচকে জিম্মি করে।
তাদের মুক্তিপণ হিসেবে তারা ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ২৩৪ জন ফিলিস্তিনির এবং জার্মানির কারাগারে বন্দী বামপন্থী গেরিলা সংগঠন “রেড আর্মি ফ্যাকশন” তথা “বাদর-মেইনহফ” এর বন্দীদের মুক্তির দাবি জানায়।
কিন্তু ইসরায়েল আলোচনায় বসতে রাজি না হওয়ায় এবং জার্মানির পুলিশের অদক্ষতায় জিম্মি নাটক শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে রূপ নেয়। বন্দী ১১ জন ইসরায়েলির সবাই, এক জার্মান পুলিশ অফিসার এবং ৫ জন ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর সদস্য নিহত হয়।
তাদের বাকি তিন জন সদস্য গ্রেপ্তার হয়, কিন্তু পরবর্তীতে ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরের প্রতিশোধের ভয়ে জার্মানি তাদেরকে মুক্তি দেয়। লিবিয়া তাদেরকে বীরের বেশে বিপুল সংবর্ধনা দিয়ে এয়ারপোর্টে স্বাগত জানায়।
মিউনিখে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি প্রচলিতভাবে মিউনিখ ম্যাসাকার নামে পরিচিত।
-
প্রিন্সেস সারভাত: যে বাঙালি নারী হতে যাচ্ছিলেন জর্ডানের রানি!
তার নাম প্রিন্সেস সারভাত (সারওয়াত) একরামউল্লাহ। জন্ম কলকাতায়। তার বাবা ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম পররাষ্ট্র সচিব, আর মা ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম দুই নারী এমপির একজন।
কিন্তু তার আরও দুটি পরিচয়ও আছে। তিনি হচ্ছেন পাকিস্তানের এককালের প্রধানমন্ত্রী, এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর ভাগ্নি। তার মা ছিলেন সোহরাওয়ার্দীর মামাতো বোন। একইসাথে তিনি বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের শ্যালিকা। এবং এই সারভাতেরই হওয়ার কথা ছিল জর্ডানের রানি!
-
হাশেমী রাজবংশ: উত্থান এবং বিস্তার
বর্তমান যে আরব বিশ্ব, তার প্রতিষ্ঠার মূলে আছে দুটি রাজবংশ – সৌদ রাজবংশ এবং হাশেমী রাজবংশ।
সৌদ রাজবংশ সম্পর্কে তো সবাই জানে, কিন্তু সৌদরা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হাশেমী রাজবংশ ছিল সৌদদের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান “সৌদি আরব” তো বটেই, সিরিয়া, থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত সমগ্র আরব ভূমিই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল।
-
মোহাম্মদ বিন সালমান বনাম সুলতান বিন তুর্কি: এক রাজকীয় কিডন্যাপিংয়ের কাহিনী!
প্রিন্স সুলতান বিন তুর্কি এর আগেও একবার কিডন্যাপ হয়েছিলেন। ২০০৩ সালে। সে সময় তাকে কিডন্যাপ করেন তার চাচাতো ভাই, সৌদি রাজপুত্র আব্দুল আজিজ বিন ফাহাদ। মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৬ সালে তিনি আবারও প্রায়ই একই পদ্ধতিতে দ্বিতীয়বার কিডন্যাপ হন। এবার তাকে কিডন্যাপ করেন তার আরেক চাচাতো ভাই, আরেক রাজপুত্র, মোহাম্মদ বিন সালমান!
সম্পূর্ণ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে রোর বাংলায়। পড়তে পারেন এখান থেকে। নিচে চুম্বক অংশ দেওয়া হলো:
-
ফ্রান্স: বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান নিও কলোনিয়াল পরাশক্তি
ফ্রান্স হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান নিও কলোনিয়াল পরাশক্তি।
ভাগ্যবান এই কারণে, অধিকাংশ মানুষ সারাদিন আমেরিকা আর ইসরায়েলকেই গালাগালি করে। গত কয়েক বছরে অবশ্য সিরিয়া আর শিংজিয়াংয়ের কারণে রাশিয়া এবং চীনকেও অনেকে গালাগালি করা শুরু করছে। কিন্তু ফ্রান্সের নাম কারো মুখে শোনাই যায় না। অথচ ফ্রান্সের অন্যায় এদের কারো চেয়ে কোনো দিক থেকে কম না। ফ্রান্সই একমাত্র সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি, যারা এখনও তাদের সাবেক উপনিবেশগুলোকে প্রায় আগের মতোই শোষণ করে যাচ্ছে।
ফ্রান্স টিকেই আছে আফ্রিকাকে শোষণ করার মধ্য দিয়ে। এটা গোপন কিছু না। সময়ে সময়ে ফরাসিরা নিজেরাও এটা স্বীকার করে। সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেঁরা ১৯৫৭ সালে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আফ্রিকার উপর নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে না পারলে একবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে ফ্রান্সের কোনো জায়গা থাকবে না। পাঁচ দশক পর তার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাক ২০০৮ সালে সেটা আবারও নিশ্চিত করে বলেছিলেন, আফ্রিকা না থাকলে ফ্রান্স তৃতীয় বিশ্বের তালিকায় ছিটকে পড়ত। তিনি পরিষ্কারভাবেই স্বীকার করেছিলেন, ফ্রান্সের ব্যাঙ্কগুলোতে যে টাকা আছে, তার একটা বড় অংশ এসেছে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোকে শোষণ করার মধ্য দিয়ে।