-
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি: একটি প্রতীক্ষিত সিকুয়েল
পড়লাম মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের জনপ্রিয় থ্রিলার “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি”-এর সিকুয়েল “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি”। কাহিনী সংক্ষেপে না গিয়ে অন্য কয়েকটা পয়েন্ট বলি।
প্রথম খণ্ডের তুলনায় দ্বিতীয় খণ্ডটিকে কিছুটা ধীর গতির মনে হতে পারে। প্রথম খণ্ডটি একেবারে প্রথম অধ্যায় থেকেই পাঠককে চুম্বকের মতো বইয়ের পাতায় আটকে রাখতে পারে, প্রতিটি অধ্যায় শেষ হওয়ামাত্রই পাঠক পরে কী হয়েছে জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
-
প্রত্যাবর্তন – হিশাম মাতার
২০১১ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্তও আমি (হিশাম মাতার) ভাবতে পারিনি, জীবনে কখনও লিবিয়ায় ফিরে যেতে পারব।
সে সময় আমি সবেমাত্র লন্ডন ছেড়ে নিউইয়র্কে গিয়ে উঠেছিলাম। আমার বাবা-মা প্রথম এই শহরটিতে এসেছিলেন ১৯৭০ সালের বসন্তকালে, যখন আমার বাবাকে জাতিসংঘে লিবিয়া মিশনের প্রথম সচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই শরৎকালেই আমার জন্ম।
তিন বছর পর, ১৯৭৩ সালে আমরা ত্রিপোলিতে ফিরে যাই। এরপরেও আমি চার কি পাঁচবার নিউইয়র্কে গিয়েছিলাম, কিন্তু প্রতিবারই সংক্ষিপ্ত সফরে। কাজেই ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যদিও আমি আমার জন্মস্থানেই গিয়ে উঠেছিলাম, কিন্তু এটি ছিল আমার কাছে প্রায় সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি শহর।
-
২০১৯ সালে পড়া সেরা ৫টি বই!
বছরের শুরুতে গুডরিডসের রিডিং চ্যালেঞ্জে ৩০টা বইয়ের টার্গেট সেট করেছিলাম। এখন পর্যন্ত পড়েছি সাড়ে ২৯টা।
লেটেস্ট ট্রেন্ড হচ্ছে বছরজুড়ে পড়া সেরা ৫টা বইয়ের নাম শেয়ার করা। আমাকে মেনশন করেছেন ফেসবুক ফ্রেন্ড Imtiaz Mirza ভাই।
যেহেতু মাত্র ৩০টা পড়েছি, তাই বেছে বেছে ভালোগুলোই পড়ার চেষ্টা করেছি। এখান থেকে সেরা ৫টা বের করা কঠিন। র্যান্ডমলি ৫টার নাম বলে দিচ্ছি। অধিকাংশেরই রিভিউ আগেই দিয়েছি, তাই নতুন করে বেশি কিছু বলছি না। সবগুলো রিভিউ একত্রে পাওয়া যাবে এই পাতায়।
-
সাদাত হোসাইনের আরশিনগর: পাঠ প্রতিক্রিয়া
জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক সাদাত হোসাইনের আরশিনগর উপন্যাসটা পড়লাম। খুবই ভালো লেগেছে। পাঠ প্রতিক্রিয়া হিসেবে এক কথা বলা যায়, যতটা আশা করেছিলাম, সাদাত হোসাইন তার চেয়েও বেশি তুষ্ট করতে পেরেছেন।
সাদাত হোসাইনের ভাষা পুরোপুরি সাবলীল না। তার বর্ণনায় বাহুল্য আছে। আরশিনগর উপন্যাসে বাক্যের শেষে খণ্ডিত বাক্যাংশের পুনরাবৃত্তি করার স্টাইলটা খুবই বিরক্তিকর। যেমন: “সে খুব কাঁদল। খুব।” এক উপন্যাসে কয়েকশো বার “মানবজনম” শব্দটার ব্যবহারও বিরক্তিকর।
কিন্তু এসব ইগনর করতে পারলে তার কাহিনীর বুনন অসাধারণ। বিশাল কলেবরে প্রচুর চরিত্র নিয়ে সমান্তরালে অনেকগুলো কাহিনী তিনি দাঁড় করিয়েছেন। শুরুরদিকে আপাত সম্পর্কহীন চরিত্রগুলোকে পরবর্তীতে এক বিন্দুতে নিয়ে এসেছেন। হুমায়ূন আহমেদদের হাত ধরে আমরা ৬০-৭০ পৃষ্ঠার গল্পকেই যে উপন্যাস বলে ভাবতে শিখেছিলাম, সাদাত হোসাইন এবং এ জাতীয় আরও কিছু নতুন লেখক সেটা ভেঙ্গে দিচ্ছেন।