-
বিলিয়ন ডলার স্পাই: স্পাই স্টোরিজ বইয়ের এক্সার্প্ট
সিআইএর মস্কো স্টেশনের ক্ল্যান্ডেস্টাইন অফিসার বিল প্লাঙ্কার্ট দুশ্চিন্তায় আছেন। তার আশঙ্কা, গত দুই দশকের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে সিআইএর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্পাই “সি.কে. স্ফিয়ার” হয়তো কেজিবির হাতে ধরা পড়ে গেছে। ধরা না পড়লেও অন্তত কেজিবির সন্দেহের তালিকায় নিশ্চয়ই তার নাম উঠে গেছে।
আর যদি সেরকম কিছুই হয়ে থাকে, তাহলে তাকে খুঁজে বের করতে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে নিজেকে কেজিবির হাতে তুলে দেয়া। অথচ প্লাঙ্কার্টকে এখন ঠিক সেই কাজটিই করতে হবে।
-
গল্পের শহর: যে বইয়ে স্থান পেয়েছে আমার একটি ননফিকশন থ্রিলার
বইয়ের শহর গ্রুপটি নতুন হলেও বেশ অ্যাকটিভ। দুইদিন পরপরই বিভিন্ন কুইজ, রিভিউ, প্রভৃতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, পুরস্কার-টুরস্কারও দেয়।
বইমেলা উপলক্ষ্যে তারা একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছে, নাম “গল্পের শহর”। বইটি প্রকাশিত হবে সূচিপত্র প্রকাশনী থেকে। কীভাবে কীভাবে যেন আমার একটি গল্পও এখানে স্থান পেয়ে গেছে 🙂
সূচিপত্র প্রকাশনী থেকে প্রকাশিতব্য বই গল্পের শহর, যে বইয়ে আছে আমার একটি স্পাই স্টোরি গল্পের শহর বইয়ের সূচিপত্র, যেখানে আছে আমার লেখা গোয়েন্দা গল্প উল্টোস্রোতের গুপ্তচর
বইটি মূলত হরর, থ্রিলার, ডিটেকটিভ এবং রোমান্টিক গল্পের সঙ্কলন। কয়েকটি গল্প নেওয়া হয়েছে সরাসরি গ্রুপের পক্ষ থেকে নির্বাচিত কিছু লেখকের কাছ থেকে, আর বাকি গল্পগুলো বাছাই করা হয়েছে গ্রুপের পাঠকদের পাঠানো গল্প থেকে।
আমি হচ্ছি সেই সৌভাগ্যবান লেখকদের একজন, যাকে সরাসরি গ্রুপের পক্ষ থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এবং আমি সম্ভবত এই লিস্টের সবচেয়ে অখ্যাত “লেখক”। সরাসরি নির্বাচিত বাকি সবাই দেখি বেশ বিখ্যাত, একাধিক বইয়ের লেখক, এবং পাঠকরাও তাদেরকে চেনে। আমিই বহিরাগত 🙂
আরো পড়ুন: স্পাই স্টোরিজ – সত্যিকার গুপ্তচরদেরদের কাহিনী নিয়ে আমার নন-ফিকশন থ্রিলার বই
আমার ফ্রেন্ডরা এবং নিয়মিত পাঠকরা যারা এতোক্ষণ ধরে ভ্রু কুঁচকে পড়তে পড়তে ভাবছিলেন, “এই লোক আবার গল্প লেখে কবে থেকে”, তাদের কাছে ক্লিয়ার করি – টেকনিক্যালি আমার লেখাটা গল্প না। এটা হচ্ছে ননফিকশন থ্রিলার। সত্যিকারের একটা স্পাই স্টোরি, কিছুটা থ্রিলারের আদলে লেখা। আশা করি ভালোই লাগবে পড়তে।
আমার গল্পটার নাম “উল্টোস্রোতের গুপ্তচর”। বইয়ের সূচিপত্রে এর অবস্থান চার নম্বরে। কোন দেশী স্পাই, কাহিনী কী, আপাতত গোপন থাকুক, বই বের হলে একেবারেই পড়ে নিয়েন। আপাতত প্রকাশের অপেক্ষায় আছি।
-
পার্মানেন্ট রেকর্ড: এডওয়ার্ড স্নোডেনের আত্মজীবনী
এডওয়ার্ড স্নোডেনকে কি পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু আছে? মনে হয় না। এডওয়ার্ড স্নোডেন-অ্যাসাঞ্জরা হচ্ছে এই সময়ের বিপ্লবী গেরিলা, অস্ত্রের পরিবর্তে প্রযুক্তিই যাদের শেষ ভরসা।
পার্মানেন্ট রেকর্ড (Permanent Record) বইটা এডওয়ার্ড স্নোডেনের আত্মজীবনী। মিডিয়াতে আমরা স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যগুলো সম্পর্কেই বেশি আলোচনা শুনি, সেই তুলনায় ব্যক্তি স্নোডেন সম্পর্কে খুব বেশি আলোচনা শুনি না। যেটুকু শুনি, “লো লেভেল টেক কন্ট্রাক্টর টার্নড হ্যাকার”, সেটুকুও মার্কিন সরকারি ভাষ্য দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। এই বইটা স্নোডেন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের সেই ঘাটতিটুকুই পূরণ করবে।
বইটাতে স্নোডেনের ফাঁস করা মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থাগুলোর গোপন তথ্য সম্পর্কে, কিংবা মার্কিন প্রশাসনের গোপন কার্যক্রম সম্পর্কে নতুন এমন কোনো চাঞ্চল্যকর তথ্য নেই, যা আমরা জানি না। বইটার ফোকাস মূলত স্নোডেনের নিজের জীবন। ছোটকাল থেকে ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটি পরিবারে তার বেড়ে ওঠা, অসাধারণ মেধাবী হিসেবে অল্প বয়সেই দক্ষ হ্যাকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা, কিশোর বয়সেই নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটির সার্ভার হ্যাক করে তাদের কাছ থেকে চাকরির অফার পাওয়া – প্রতিটা অধ্যায়েই স্থান পেয়েছে তার জীবনের এরকম ইন্টারেস্টিং ঘটনাগুলো, যেগুলো এতদিন আমাদের কাছে অজানা ছিল।
-
অ্যানাটমি অফ টেরর: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এফবিআইর পদত্যাগী এজেন্টের অসাধারণ একটা বই
সাবেক এফবিআই স্পেশাল এজেন্ট আলি সুফানের লেখা অ…সাধারণ একটা বই। বিস্তারিত রিভিউ পরে কখনও দিবো, আপাতত আলি সুফানের পরিচয় এবং এই বইয়ের পেছনের কাহিনীটা বলি। আলি সুফান হচ্ছেন লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। ১৯৯৮ সালে তিনি ছিলেন সমগ্র এফবিআইর মাত্র ৮ জন আরবি ভাষা জানা এজেন্টের মধ্যে একজন। সে সময় আল-কায়েদা ইয়েমেনে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএসএস কোলের উপর আত্মঘাতী হামলা চালালে তাকে লীড ইনভেস্টিগেটর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
৯/১১ এর হামলার সময়ও আলি সুফান তদন্তের কাজে ইয়েমেনেই ছিলেন। সে সময়ই তিনি আগে থেকে ইয়েমেনে বন্দী থাকা বিন লাদেনের সাবেক ড্রাইভারের মুখ থেকে খালিদ শেখ মোহাম্মদসহ বিভিন্ন টপ লেভেল আল-কায়েদা নেতার ৯/১১ এর হামলার সাথে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি আদায় করেন। কোনো রকম টর্চার ছাড়াই, দিনের পর দিন আলোচনা এবং জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে।
-
ইসরায়েলের গোপন অপারেশনগুলো: প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ
১৯৪৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। জেরুজালেমের রুমানিয়ান চার্চের ব্রিটিশ ম্যাণ্ডেটের প্রশাসনিক ভবন থেকে বেরিয়ে এলেন ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেণ্টের (সিআইডি) বিশেষ ইহুদী বিভাগের কমাণ্ডার, টম উইলকিন। তার গন্তব্য ছিল সিআইডির নিকটবর্তী রাশিয়ান কম্পাউণ্ড, যেখানে ইহুদী গুপ্ত সংস্থাগুলোর সদস্যদেরকে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতো।
অন্য সব সময়ের মতো সেদিনও উইলকিন সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার আগেই তিনি উঁকি মেরে দেখে নিয়েছিলেন রাস্তার দু’পাশ, এক হাত পকেটে ঢুকিয়ে স্পর্শ করে রেখেছিলেন তার রিভলভারটি। কিন্তু তার জানার কথা ছিল না, একটু সামনের সেইন্ট জর্জ স্ট্রিটের এক অন্ধকার সরু গলির ভেতর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওঁৎ পেতে ছিল কুখ্যাত ইহুদী সন্ত্রাসী সংগঠন ‘লেহি‘র এক সদস্য, ডেভিড শমরন।
লেহির অপারেশন বিভাগের প্রধান ইতজাক শামিরের নির্দেশে ডেভিড শমরন এবং ইয়াকভ বানাই টম উইলকিনের উপর হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছিলেন। জেরুজালেমের রুমানিয়ান চার্চের বাসভবনে উইলকিনের অবস্থান নিশ্চিত করার পর তারা তাদের অভিযান শুরু করেন।
-
আমেরিকার প্রথম রেজিম চেঞ্জ: হাওয়াইয়ের রানিকে ক্ষমতাচ্যুত করার কাহিনী
রাজা কালাকাউয়ার মৃত্যুর পর সিংহাসনে বসার দুই বছরের মধ্যেই তার বোন, রানি লিলিউকালানি সিদ্ধান্ত নেন, স্বাধীন রাজ্য হাওয়াইয়ের জনগণের স্বার্থে তিনি নতুন একটি সংবিধান প্রণয়ন করবেন। উড়ে এসে জুড়ে বসা আমেরিকান এবং অন্যান্য ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গদের ক্ষমতা খর্বিত করে নতুন সংবিধানে তিনি ভোট দেওয়ার অধিকার দিবেন শুধুমাত্র হাওয়াইয়ান নাগরিকদেরকে।
রানি লিলিউকালানির এ সিদ্ধান্তটি ছিল শতাধিক বছর ধরে হাওয়াইয়ের অর্থনীতি এবং রাজনীতিকে কুক্ষিগত করে রাখা শ্বেতাঙ্গ এলিট সম্প্রদায়ের জন্য এক অশনি সংকেত। এই এলিট সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশই ছিল আমেরিকান বংশোদ্ভূত। কাজেই সেদিন রাতেই তাদের একটি দল গিয়ে হাজির হয় হাওয়াইয়ে নিযুক্ত আমেরিকান দূত, জন এল. স্টিভেনসের বাড়িতে।
স্টিভেন্সের বাসায় বসে তারা তাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে – হাওয়াইয়ে যদি আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করতে হয়, তাহলে এখন তাদের একটাই করণীয় আছে। তারা রানি লিলিউকালানিকে উৎখাত করে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে টিকে থাকা হাওয়াইকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একীভূত করে নেবে। আর রেজিম চেঞ্জ তথা সরকার পরিবর্তনের পুরো ব্যাপারটিতে স্টিভেন্সের মাধ্যমে পেছন থেকে পূর্ণ সহায়তা দিয়ে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সেনাবাহিনী।
-
ইনসাইড দ্য ব্যাটেল অফ আলজিয়ার্স: দুঃসাহসী নারী গেরিলা জোহরা দ্রিফ এর আত্মজীবনী
ঔপনিবেশিক ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ, বিশেষ করে এই যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সের যুদ্ধের উপর নির্মিত দ্য ব্যাটেল অফ আলজিয়ার্স (The Battle of Algiers) সিনেমাটা হয়তো অনেকেই দেখেছেন। ঐ সিনেমায় যে তিন নারী গেরিলাকে দেখানো হয়েছিল, জোহরা দ্রিফ (Zohra Drif) ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। ইনসাইড দ্য ব্যাটেল অফ আলজিয়ার্স (Inside the Battle of Algiers: Memoir of a Woman Freedom Fighter) নামের এই বইটা তারই আত্মজীবনী।
বইটার ভূমিকা লিখেছেন বিখ্যাত কূটনীতিক লাখদার ব্রাহিমি, যিনি আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্বকালীন সময়ে ভার্সিটিতে জোহরার সহপাঠী ছিলেন। লাখদার ব্রাহিমি ছিলেন এক সময় আলজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সিরিয়ার যুদ্ধের সময় সিরিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘের এবং আরব লীগের বিশেষ দূত। বইটার ইংরেজি অনুবাদ করেছেন Farrand G. Andrew।
-
প্রেসিডেন্ট মুরসি: যে বইয়ে স্থান পেয়েছে আমার দুটি লেখা
মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির স্মরণে প্রচ্ছদ প্রকাশন একটি বই প্রকাশ করেছে। “প্রেসিডেন্ট মুরসি: আরব বসন্ত থেকে শাহাদাত” শিরোনামের বইটি ঠিক সেই অর্থে মুরসির জীবনী না। এতে মূলত মুরসির জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর, বিশেষ করে তার রাষ্ট্রপ্রতিত্বের সময়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। বইটিতে আমার দুটি লেখাও স্থান পেয়েছে।
বইটিতে মোট ১৬টি লেখা আছে, মৌলিক এবং অনুবাদ মিলিয়ে। মৌলিক লেখকদের দুজন পরিচিত লেখক আছেন – ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী এবং ফেসবুকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক লেখক, মিসর প্রবাসী মোহাম্মদ নোমান ভাই।