-
“গল্পগুলো সিরিয়ার” PDF ফ্রি ডাউনলোড!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে গল্পগুলো সিরিয়ার বইটা ডাউনলোড করতে আসার জন্য। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে – স্যরি ভাই, আপাতত কোনো ডাউনলোড লিঙ্ক দিচ্ছি না। এটা হচ্ছে এপ্রিল ফুল (জ্বী, আজকের তারিখটা ১লা এপ্রিল) বিষয়ক পোস্ট। অথবা বলতে পারেন এপ্রিল ফুল বিষয়ক সচেতনতামূলক পোস্ট। টাইটেলটা জাস্ট ফর অ্যাটেনশন ?
এপ্রিল ফুলের আসল ইতিহাস জানতে চাইলে রোর বাংলায় আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদের এই পোস্ট, সচলায়তনের এই পোস্ট, অথবা মুহাম্মদ সজল ভাইর এই পোস্ট এবং এই পোস্ট পড়ে দেখতে পারেন। তবে সংক্ষেপে ব্যাপারটা হচ্ছে, স্পেনে মুসলমানদের উপর প্রচুর নির্যাতন হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, স্পেনে লাখ লাখ মুসলমানকে (এবং ইহুদীদেরকেও) হত্যা করা হয়েছে – এ সবই সত্য।
-
দ্য ম্যান হু সোল্ড হিজ স্কিন: অদ্ভুত সুন্দর একটা আরব মুভি
রাক্বা, সিরিয়া, ২০১১।
লোকাল বাসে করে যাওয়ার সময় এক তরুণী আবির তার প্রেমিক স্যামকে ভালোবাসার কথা বলে ফেলে। আবেগে আপ্লুত হয়ে স্যাম সেখানেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে। বাসভর্তি মানুষের সামনে বিয়ের ঘোষণা দিতে গিয়ে উচ্চারণ করে বসে নিষিদ্ধ কিছু শব্দ – বিপ্লব, স্বাধীনতা।
এই ঘটনাই পাল্টে দেয় স্যাম এবং আবিরের জীবনকে। রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাবাহিনী স্যামকে তুলে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরিচিত এক পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে পালাতে পারলেও সিরিয়ায় থাকা তার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। বর্ডার দিয়ে পালিয়ে সে চলে যায় লেবাননে। আর ওদিকে পরিবারের চাপে অন্য এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে বেলজিয়ামে চলে যায় আবির।
-
ওরা আমাদের বিপ্লব কেড়ে নিয়েছে
ওরা আমাদেরকে ঘড়ি দিয়ে সময় কেড়ে নিয়েছে
ওরা আমাদেরকে জুতা দিয়ে পথ কেড়ে নিয়েছেওরা আমাদেরকে পার্লামেন্ট দিয়ে স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে
ওরা আমাদেরকে দোলনা দিয়ে উতসব কেড়ে নিয়েছেওরা আমাদেরকে গুঁড়া দুধ দিয়ে শৈশব কেড়ে নিয়েছে
ওরা আমাদেরকে সার দিয়ে বসন্ত কেড়ে নিয়েছেওরা আমাদেরকে প্রহরী আর তালা দিয়ে নিরাপত্তা কেড়ে নিয়েছে
ওরা আমাদেরকে বিদ্রোহী দিয়ে আমাদের বিপ্লব কেড়ে নিয়েছে।—- সিরিয়ান কবি মুহাম্মাদ আল-মাগুত
-
আসাদ-মাখলুফ দ্বন্দ্বের পটভূমি
লিবিয়ার পরিস্থিতি খারাপ বলে ওদিকে সিরিয়াতে যে বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু ঘটনা ঘটেছে, সেদিকে নজরই দেওয়া হয়নি। সিরিয়াতে বাশার আল-আসাদের সাথে রামি মাখলুফের সম্পর্কের এতটাই অবনতি ঘটেছে যে, সরকার রামি মাখলুফের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং তার ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
গত কয়েক দশক ধরে সিরিয়া শাসন করছিল দুইটা পরিবার – আসাদ পরিবার এবং মাখলুফ পরিবার। হাফেজ আল-আসাদের স্ত্রীর নাম ছিল আনিসা মাখলুফ। মাখলুফরা হচ্ছে তারই আত্মীয়-স্বজনরা। সিরিয়ার প্রায় সব ব্যবসা-বাণিজ্য এই দুই পরিবারের হাতে। এবং বলতে গেলে বেশিরভাগই মাখলুফদের হাতে। কারণ হাফেজ উঠে এসেছিল দরিদ্র কৃষক পরিবার থেকে, কিন্তু আনিসা ছিল উত্তরাধিকার সূত্রে ধনী।
-
রিফাত আল-আসাদ এবং তার গণহত্যাগুলো
এই লোকের নাম রিফাত। রিফাত আল-আসাদ।
সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের চাচা। সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল-আসাদের ভাই। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে, সত্তরের দশকের শেষের দিকে যখন সিরিয়াতে প্রথম গৃহযুদ্ধ চলছিল, তখন রিফাত আল-আসাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সংঘটিত হয়েছিল একাধিক গণহত্যা।
-
ম্যারি কোলভিনের প্রাইভেট ওয়ার
নিচের ছবি গাদ্দাফির সাথে ম্যারি কোলভিনের যে দৃশ্যটা দেখা যাচ্ছে, সেটা বাস্তবের না, A Private War সিনেমার। এবং এখানে যে গাদ্দাফিকে দেখা যাচ্ছে, তিনিও আসল গাদ্দাফি নন; সিনেমার অভিনেতা। তবে বাস্তবেও সানডে টাইমসের সাংবাদিক ম্যারি কোলভিন গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। একবার না, একাধিক বার।
১৯৮৬ সালে রিগ্যান প্রশাসন যখন লিবীয় নেতা মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনের উপর বিমান হামলা (অপারেশন এল-ডোরাডো ক্যানিয়ন) পরিচালনা করে, তখন ম্যারি কোলভিনই ছিলেন প্রথম সাংবাদিক, যিনি গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
-
যুদ্ধ শেষে বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র হবে আরব আমিরাত!
যুদ্ধ যখন শেষ হবে, বাশার আল-আসাদ যখন টিকে যাবে, তখন তার প্রধান মিত্র হবে আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব (এবং সেই সাথে ব্র্যাকেটে ইসরায়েল)।
যতই অদ্ভুত শোনাক, এটাই সত্য। এবং এই কথা আজই প্রথম বলছি না, আরো বছর দেড়েক আগে পুরাতন আইডি থেকেও বলেছিলাম। তখন সেটা ছিল জাস্ট একটা অনুমান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা এই অনুমানকে আরো বাস্তবসম্মত করে তুলেছে।
-
এলি কোহেন: দামেস্কে ইসরায়েলের ছদ্মবেশী গুপ্তচর
এলি কোহেন ছিলেন ইসরায়েলের বেস্ট স্পাইদের মধ্যে একজন।
এলি কোহেন ছিলেন মিসরীয় ইহুদী, কিন্তু তার বাবা ছিলেন সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে আসা। ফলে কোহেনের মিসরীয় এবং সিরিয়ান – উভয় ডায়ালেক্টের আরবির উপরেই ভালো দক্ষতা ছিল। ১৯৫৭ সালে মোসাদে যোগ দেয়ার পর কোহেনকে ধনী সিরিয়ান ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে সিরিয়াতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যেন তিনি ক্ষমতাসীন সিরিয়ানদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।