বই পড়ুয়া বা বই রিভিউয়ারদের বলদামি আর মেরুদণ্ডহীনতা দেখে হতাশ হওয়ার কিছু নাই। বই পড়া, বই লেখা বা বই রিভিউ করা – এগুলোর কোনোটাই মানুষকে মহান করে না। এগুলো হাইলি ওভাররেটেড। মূলত বুক ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িতরা নিজেরাই একে অন্যের পিঠ চাপড়ায়, আহা-উহু করে এবং বই পড়া জিনিসকে স্বর্গীয় লেভেলে নিয়ে যায়।
বাস্তবেই দেখেন, এই পনের বছরের ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে কালেক্টিভলি বুক ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িতদের, বই পড়া মানুষদের চোখে পড়ার মতো কোনো অবদান ছিল না। মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীন আর লতিফুল ইসলাম শিবলির বাইরে কোনো লেখক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ভয়েস রেইজ করে নাই। এক লেখককে বন্দী অবস্থায় টর্চার করে মেরে ফেলার পরেও প্রতিবাদে কেউ রাস্তায় নামে নাই।
আমার নতুন বই!!!
স্পাই স্টোরিজ ২: স্নায়ুযুদ্ধের সফলতম ডাবল এজেন্টের কাহিনি
অবিশ্বাস্য সত্য ঘটনা অবলম্বনে ননফিকশন স্পাই থ্রিলার। উচ্চপদস্থ এক ডাবল এজেন্টের কাছে ১৫ বছর ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নাস্তানাবুদ হওয়ার কাহিনি।
পাবেন রকমারি ডট কমে (22% ছাড়ে), প্রকাশনীর ফেসবুক পেজ (25% ছাড়ে) এবং আপনার পছন্দের যেকোনো অনলাইন বুকশপে।
বরং পাঠকদের এক আইডল, এককালের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকদের একজন, সদাসিধে স্যার বছরের পর বছর স্বৈরাচারের দালালি করে গেছে। আলোকিত মানুষ গড়ার এক কারিগর বছরের পর বছর ধরে মেরুদণ্ডহীনতার সাথে সুশীলতার চর্চা করে গেছে। পত্রিকার সম্পাদকরা, যাদের হাত ধরে ভবিষ্যত লেখকদের বেড়ে ওঠার কথা, যাদের নিজেদের সমাজের দর্পণ হওয়ার কথা, তারা নির্লজ্জভাবে তেলবাজি করে গেছে।
হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, হাসিনার পতনের আন্দোলনে বুক ইন্ডাস্ট্রির সাথে জড়িতদের চেয়ে রিকশাওয়ালা, ঠেলাগাড়িওয়ালা, ফেরিওয়ালাদের অবদান অনেক অনেক বেশি ছিল।
মানুষকে কখনোই তার বই পড়া দিয়ে বা পড়া বইয়ের সংখ্যা দিয়ে বিচার করবেন না। তাকে বিচার করবেন সে মানুষ হিসেবে কতটা সৎ, তার ন্যায়-অন্যায়-বোধ কতটা প্রখর – এসব দিয়ে। এগুলোর সাথে কে কয়টা হুমায়ূন আহমেদ, কয়টা জাফর ইকবাল, আর কয়টা মোটিভেশনাল বই পড়ল – তার কোনো সম্পর্ক নাই।
আমার লেখা সবগুলো বইয়ের রিভিউ পড়তে চাইলে ক্লিক করুন এখানে।