খুবজা রুটি
বাংলাদেশের রাজনীতি,  স্যাটায়ার

সরকারি কর্মকর্তাদেরকে খুবজা খাওয়ার জন্য লিবিয়ায় আসার আমন্ত্রণ

খুবজা নামের এই কাবারটাকে ইংরেজিতে সম্ভবত বলে ফ্রেঞ্চ ব্রেড বা বাগেট। যেই দেশে এই জিনিস নাই, সেই দেশের মানুষ কী খেয়ে বাঁচে, আমি জানি না!

দুনিয়ার প্রায় সব কিছুই খুবজা বা খোবজা দিয়ে খাওয়া যায়। সকালের নাশতা? ডিম/টুনা/চীজ/জেলি/জয়তুন যাই বলেন, সাথে খুবজ রুটি। লাঞ্চ বা ডিনার? যেকোনো ধরনের তরকারি, সাথে খোবজা। বিকেলের নাশতা? শুধু চায়ে ভিজিয়ে ভিজিয়ে খোবজা।

রান্না-বান্নার ঝামেলায় যেতে চান না? জাস্ট শশা-টমেটো কেটে, মাখিয়ে এই রুটি দিয়ে খেলেও পেট ভরে যাবে। নড়তে পারবেন না। অটাইমে ক্ষুধা লেগেছে? কোনো কিছু ছাড়া খালি গরম গরম খোবজাও গোটা দুয়েক খেয়ে ফেলতে পারবেন। এ এক সুবহানাল্লাহ টাইপের খাবার!

বাংলাদেশীরা যখন প্রথম প্রথম লিবিয়াতে আসে, তখন খুবজ রুটি খেতে পারে না। কিন্তু কয়েকমাস যাওয়ার পর এমন অভ্যস্ত হয়, দেশে ফিরে যাওয়ার পর ফেসবুকে যোগাযোগ হলেই যখন জিজ্ঞেস করি, লিবিয়ার কোন জিনিসটা সবচেয়ে বেশি মিস করে, এক কথায় উত্তর দেয়, খোবজা!

আরো পড়ুন: বইমেলা বিষয়ক ফানি স্ট্যাটাস সমগ্র

তো এতো কথার কারণ হলো, নিউজে দেখলাম মধু খাওয়ার জন্য নাকি ১০০ কর্মকর্তা ইউরোপে যাচ্ছে। খুবই আনন্দের সংবাদ। কিন্তু কথা হচ্ছে, মধু তো দেশেও পাওয়া যায়, এটার জন্য বিদেশে না গেলেও চলে। কিন্তু খুবজা সম্ভবত দেশে পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও খুব বেশি জনপ্রিয় না।

তাই আমি লিবিয়াবাসীর পক্ষ থেকে শুধু ১০০ না, ১০০০ কর্মকর্তাকে খুবজা খাওয়ার জন্য লিবিয়ায় আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। খুবজা খুবই সস্তা জিনিস। যেই টাকা দিয়ে ১০০ কর্মকর্তা মধু খেতে পারবে, সেই টাকা দিয়ে ১ হাজার কর্মকর্তা তো খুবজা খেতে পারবেই, আরো কয়েক লাখ কর্মকর্তার জন্য দেশেও নিয়ে যেতে পারবে।

কেউ হাহা দিবেন না। এইটা সিরিয়াস পোস্ট। এই খুবজা জিনিসটাকে দেশে ইন্ট্রোডিউস করানোটা খুবই দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *