বই রিভিউ
-
দ্য প্রফেট: ইহুদী লেখিকার মুগ্ধ বর্ণনায় রাসুল (সা)-এর জীবনী
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন রোর বাংলার এই লিঙ্ক থেকে।
মূল বইটির লেখিকা লেজলি হ্যাজেলটন একজন অ্যাগন犀利士 স্টিক ইহুদী। অ্যাগনস্টিক শব্দের অর্থ হচ্ছে অজ্ঞেয়বাদী। অর্থাৎ যারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত না। এই তথ্য শোনার পরেই যেকোনো মুসলমানের মনে হতে পারে, এমন একজন ব্যক্তি, যিনি একে ইহুদী, তার উপর অ্যাগনস্টিক, তিনি যখন রাসুল (সা) এর জীবনী লিখবেন, সেই জীবনী কি পড়া উচিত হবে? সেখানে তো নিশ্চয়ই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মিশ্রণ থাকবে, থাকবে ইহুদী দৃষ্টিভঙ্গি!
কিন্তু বইটি পড়লে বোঝা যায়, এই সন্দেহ পুরাই অমূলক। লেজলি হ্যাজেলটন এমনভাবে রাসুল (সা)-এর জীবনী তুলে ধরেছেন, অল্প কিছু জায়গা বাদে অধিকাংশ সময় পাঠকের মনেই হবে না যে তিনি ভিন্নধর্মী বা সংশয়বাদী কারো লেখা পড়ছেন।
(more…) -
ব্যাংকব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন রোর বাংলার এই লিঙ্ক থেকে।
লেখক এই বইটার সফট কপি পাঠিয়েছিলেন মেলার শুরুর দিকেই। আগ্রহোদ্দীপক টপিক, কয়েকদিনের মধ্যেই পড়ে রিভিউ দিয়েছিলাম, যদিও ফেসবুকে ব্লক থাকায় শেয়ার করতে পারিনি। অবশ্য রোর বাংলায় এখন পর্যন্ত রিভিউটা ৭৩০০ মানুষ পড়েছে। বইয়ের রিভিউ হিসেবে সংখ্যাটা ভালোই।
বেশ ইন্টারেস্টিং বই। রিভিউতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখানে একটা অংশ তুলে দিচ্ছি:
-
শিবব্রত বর্মনের বানিয়ালুলু: চমৎকার একটি সাইফাই ফ্যান্টাসি গল্পসমগ্র
বানিয়ালুলু বইয়ের লেখক শিবব্রত বর্মনের কোনো লেখা আমি আগে পড়েছি বলে মনে পড়ে না। দুর্ভাগ্যটা আমারই। কারণ এখন দেখতে পারছি তিনি যথেষ্ট বিখ্যাত লেখক, প্রথম-আলোর সাহিত্য সাময়িকীতে নিয়মিত তার লেখা প্রকাশিত হয় এবং সবচেয়ে বড় কথা, তিনি লেখেনও দুর্দান্ত।
সম্প্রতি চরকি অ্যাপে রিলিজ পাওয়া “ঊনলৌকিক” ওয়েব সিরিজটা দেখতে গিয়েই মূলত আমি শিবব্রত বর্মন সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠলাম। সিরিজটা নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করেছি, এখানে তাই আর বিস্তারিত বলছি না।
কিন্তু যে ব্যাপারটা ঘটেছে, সিরিজটার প্রতিটা এপিসোডের কাহিনী এমন অদ্ভুত আর এত চমৎকার, সেটা দেখতে গিয়েই আমার মনে হয়েছে, এর চিত্রনাট্য সরাসরি ওয়েব সিরিজের জন্য লেখা হয়নি। বরং আগে সম্ভবত ছোটগল্প আকারে লেখা হয়েছিল, পরে সেখান থেকে অ্যাডাপ্ট করে চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে।
-
পোস্ট জার্নালিজম: চমস্কির প্রপাগান্ডা মডেলের আধুনিক রূপ
মিডিয়া কীভাবে ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে গণমানুষের সম্মতি উৎপাদন করে, সে বিষয়ে ১৯৮৮ সালে নোয়াম চমস্কি যখন তার ম্যানুফ্যাকচারিং কনসেন্ট বইটা লিখেছিলেন, তখনকার মিডিয়ার সাথে এখনকার মিডিয়ার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। কাজেই প্রশ্ন আসতে পারে, চমস্কির সেই তত্ত্ব কী আজও প্রযোজ্য?
যে পাঁচটা পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে চমস্কি এবং তার সহ-লেখক হারম্যান তাদের “প্রপাগান্ডা মডেল” দাঁড় করেছিলেন, তার প্রথম দুইটিই ছিল গণমাধ্যমের মালিকানা এবং বিজ্ঞাপন। মালিকানার কথা থাক, আপাতত বিজ্ঞাপন নিয়েই আলোচনা করি, যেহেতু গত কয়েক দশকে সংবাদপত্র টিকেই ছিল মূলত বিজ্ঞাপনের উপর।
-
মাতিল্দা মুভি কি নিতু ও তার বন্ধুরা বইয়ের নকল?
দুষ্টু লোকেরা অভিযোগ করে, স্যার মুহম্মদ জাফর ইকবালের নিতু আর তার বন্ধুরা (১৯৯৯) বইটা নাকি Matilda (1996) মুভির নকল। শুধু মূলভাবটা না, সিন বাই সিন নাকি নকল।
এ কথা সত্য, নিতু আর তার বন্ধুরা বইয়ের মতো মাতিল্দা মুভিতেও বদমেজাজি, অত্যাচারী প্রিন্সিপাল থাকে। মুভিতে মাতিল্দা প্রিন্সিপালকে শায়েস্তা করার জন্য তার পানির গ্লাসে টিকটিকি ছেড়ে দেয়। আর বইয়ে নিতু খোরাসানি ম্যাডামের বিছানায় মাকড়শা ছেড়ে দেয়।
মুভিতে মাতিল্দার টেলিকাইনেটিক পাওয়ার থাকে, যা দিয়ে সে প্রিন্সিপালকে ভয় দেখায়। বইয়ে নিতু তার গলার ফ্রিকোয়েন্সিকে কাজে লাগিয়ে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে খোরাসানি ম্যাডামের মাথার উপর ফেলে।
-
সাসপেক্ট এক্স: দুর্দান্ত একটা ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাস
এই বইটা দুর্দান্ত। জাপানিজ লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর ডিটেকটিভ থ্রিলার দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স (The Devotion of Suspect X)। এরকম অসাধারণ প্লটের কাহিনী খুব কম পাওয়া যায়।
আমি পড়েছি সালমান হকের অনুবাদ। বাংলা অনুবাদ পড়ে বেশি মজা পাই না। কিন্তু এদিক থেকে সালমান হক ব্যতিক্রম। এর আগে তার নিক পিরোগের হেনরি বিনস সিরিজের অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এবার এটা পড়ে আবারও মুগ্ধ হলাম।
-
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি: একটি প্রতীক্ষিত সিকুয়েল
পড়লাম মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের জনপ্রিয় থ্রিলার “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি”-এর সিকুয়েল “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি”। কাহিনী সংক্ষেপে না গিয়ে অন্য কয়েকটা পয়েন্ট বলি।
প্রথম খণ্ডের তুলনায় দ্বিতীয় খণ্ডটিকে কিছুটা ধীর গতির মনে হতে পারে। প্রথম খণ্ডটি একেবারে প্রথম অধ্যায় থেকেই পাঠককে চুম্বকের মতো বইয়ের পাতায় আটকে রাখতে পারে, প্রতিটি অধ্যায় শেষ হওয়ামাত্রই পাঠক পরে কী হয়েছে জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
-
ফ্র্যাকচার্ড ল্যান্ডস: আরব বিশ্বের ভেঙে পড়ার গল্প
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি নিয়ে, আরব স্বৈরাচারদের উত্থান-পতন নিয়ে, রাষ্ট্রগুলোর ভাঙ্গাগড়া নিয়ে গত কয়েক বছরে অনেক বই লেখা হয়েছে। এর মধ্যে জটিল তাত্ত্বিক বই যেমন আছে, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে গবেষণা করা ইতিহাসবিদদের লেখা বই যেমন আছে, তেমনি আছে সংবাদ সংগ্রহ করতে মধ্যপ্রাচের দেশে দেশে, যুদ্ধের ময়দানে ময়দানে ঘুরে বেড়ানো সাংবাদিকদের লেখা, যারা সঙ্কটগুলো দেখেছেন খুবই কাছ থেকে, যারা কথা বলেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সাথে, প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের সুখ-দুঃখ।
-
ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মো’আবিয়া (রা): অভিযোগের জবাব
ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মো’আবিয়া (রা) বইটির লেখক বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মুফতি তকী উসমানী। বইটির নাম এবং প্রশংসা শুনেছিলাম, কিন্তু বিষয়বস্তু বিস্তারিত জানতাম না। ভেবেছিলাম হযরত মুয়াবিয়ার (রা) জীবনী। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সেরকম না।
বইটিকে দুই অংশে ভাগ করা যায়। প্রথম অংশ হচ্ছে মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমালোচনার জবাব। এবং দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে মুয়াবিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন সাহাবিদের উক্তির সঙ্কলন, সেই সাথে মুয়াবিয়ার অতি সংক্ষিপ্ত জীবনী – মূলত শাসনকাল।
-
অসাধারণ কিছু নন-লিনিয়ার টাইমলাইনের মুভি
নন-লিনিয়ার টাইমলাইন হলো যেখানে সিনেমার কাহিনী সরল গতিতে এগোয় না। অথবা বলা যায়, যেখানে সিনেমার দৃশ্য পরম্পরা বাস্তবের ঘটনার পরম্পরা অনুসরণ করে না। আগের ঘটনা পরে, পরের ঘটনা আগে – এভাবে দেখানো মিলিয়ে-মিশিয়ে দেখানো হয়।
এ ধরনের মুভির সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল, এতে কাহিনী এমন জটিলভাবে সাজানো যায় যে পুরো মুভি জুড়ে শেষের ঘটনাগুলো সম্পর্কে কিছু কিছু আভাস দিয়ে আকর্ষণও তৈরি করা যায়, আবার মূল রহস্যটা একেবারে শেষ দৃশ্যে এসেও উন্মোচিত করা যায়। ফলে পুরো সিনেমা জুড়েই সিনেমাটা দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে।
ক্রিস্টোফার নোলানের ফিল্মগুলো এর একটা ভালো উদাহরণ। আমার দেখা সেরা কিছু নন লিনিয়ার স্ট্রাকচারে তৈরি মুভির কথা এখানে আলোচনা করলাম: