এই বইটা দুর্দান্ত। জাপানিজ লেখক কিয়েগো হিগাশিনোর ডিটেকটিভ থ্রিলার দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স (The Devotion of Suspect X)। এরকম অসাধারণ প্লটের কাহিনী খুব কম পাওয়া যায়।
আমি পড়েছি সালমান হকের অনুবাদ। বাংলা অনুবাদ পড়ে বেশি মজা পাই না। কিন্তু এদিক থেকে সালমান হক ব্যতিক্রম। এর আগে তার নিক পিরোগের হেনরি বিনস সিরিজের অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। এবার এটা পড়ে আবারও মুগ্ধ হলাম।
সমস্যা একটাই, জাপানিজ নামগুলো ভীষণ খটমটে। কিন্তু এর বাইরে বইটা যে অনুবাদ, সেটা বোঝার কোনো উপায় নাই। বইটা আবারও পড়তে হবে, ইংরেজির সাথে মিলিয়ে, শুধুমাত্র এটা বোঝার জন্য, এত সাবলীলভাবে অনুবাদ কীভাবে করা যায়!
কাহিনী সংক্ষেপ বলব না, শুধু বলি হিন্দু মুভি দৃশ্যম যে মালায়লাম মুভির রিমেক, তার কাহিনীটা এই বইয়ের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত। কপি অবশ্যই না। কিন্তু থিম দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে, বোঝা যায়।
দৃশ্যম হিন্দিটা দেখে খুবই মুগ্ধ হয়ে এরপর মালায়লামটাও দেখেছিলাম। এরপর যখন জানতে পেরেছিলাম ওটা মূলত কোরিয়ান মুভি “পারফেক্ট নাম্বার” এবং জাপানিজ মুভি “সাসপেক্ট এক্স” থেকে অনুপ্রাণিত, তখন সেই দুইটাও দেখে ফেলেছিলাম। দৃশ্যমের কাহিনী অনেকটা ভিন্ন হলেও কোরিয়ান এবং জাপানিজ মুভি দুইটা পুরাই বইটার কাহিনী অবলম্বনে তৈরি।
বইটা পড়া শুরু করার আগে অবশ্য এটা খেয়াল ছিল না। গুডরিডসে হাই রেটিং এবং রিভিউ দেখে পড়তে শুরু করেছিলাম। দুই পৃষ্ঠা পড়ার পরেই অবশ্য ধরতে পেরেছি, কিন্তু তখন তো আর ছেড়ে ওঠা যায় না!
কাহিনীর টুইস্ট আগেই জানা থাকায় মূল মজাটা পাইনি। সেজন্য রেটিং ৪/৫ দিচ্ছি। কিন্তু এমনিতে এই বইটা ৫/৫ পাওয়ার মতো একটা বই। বইটা পড়ে আবারও শিক্ষা পেলাম, যেসব বই অবলম্বনে মুভি তৈরি হয়েছে, সেগুলোর মূল মজা পেতে হলে বইটাই আগে পড়া উচিত। মুভি পরে।
থ্রিলারপ্রেমীদের জন্য হাইলি রেকমেন্ডেড।
আরও পড়ুন: আমার সবগুলো বই রিভিউ।