-
ওমেন্স কর্নারে আমার সাক্ষাৎকার: সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভাবনা
গত আগস্টের ১২ তারিখে ওমেন্স কর্নারের পক্ষ থেকে আমার একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আমি আমার মতামত তুলে ধরার সুযোগ পাই। সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে দেওয়া হলো। এছাড়া কেউ চাইলে মূল লিঙ্ক থেকেও পড়তে পারেন।
-
বিবিসিতে আমার সাক্ষাৎকার: সাইফ কি পারবে ক্ষমতায় ফিরতে?
গত আগস্টের ৩ তারিখে গাদ্দাফির পুত্র সাইফ আল-ইসলামের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বিবিসি বাংলা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ঐ প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি জায়গায় আমার মন্তব্য নেওয়া হয়। নিচে প্রতিবেদনটির নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়া হলো:
আরব বসন্ত নিয়ে কি লিবিয়ানদের মোহভঙ্গ হয়েছে?
সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফির এই সাক্ষাৎকার এবং ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে তার আকাঙ্ক্ষা কতটা আগ্রহ তৈরি করেছে লিবিয়ায়?
লিবিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় শহর সির্তের বাসিন্দা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রকৌশলী এবং ব্লগার মোজাম্মেল হোসেন তোহা বলেন, তোলপাড় না হলেও লিবিয়া এবং আরব বিশ্বের অনেক মিডিয়ায় এই সাক্ষাৎকারের খবর বেরিয়েছে এবং তা নিয়ে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে।
-
বিলিয়ন ডলার স্পাই: স্পাই স্টোরিজ বইয়ের এক্সার্প্ট
সিআইএর মস্কো স্টেশনের ক্ল্যান্ডেস্টাইন অফিসার বিল প্লাঙ্কার্ট দুশ্চিন্তায় আছেন। তার আশঙ্কা, গত দুই দশকের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নে সিআইএর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্পাই “সি.কে. স্ফিয়ার” হয়তো কেজিবির হাতে ধরা পড়ে গেছে। ধরা না পড়লেও অন্তত কেজিবির সন্দেহের তালিকায় নিশ্চয়ই তার নাম উঠে গেছে।
আর যদি সেরকম কিছুই হয়ে থাকে, তাহলে তাকে খুঁজে বের করতে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে নিজেকে কেজিবির হাতে তুলে দেয়া। অথচ প্লাঙ্কার্টকে এখন ঠিক সেই কাজটিই করতে হবে।
-
স্পাই স্টোরিজ: এসপিওনাজ জগতের অবিশ্বাস্য কিছু সত্য কাহিনী
মার্ক টোয়েন বলেছিলেন, Truth is stranger than fiction.
কাল্পনিক গোয়েন্দা কাহিনী তো আমরা প্রতিনিয়তই পড়ি। কিন্তু জটিল এই পৃথিবীতে ট্রু স্পাই স্টোরির সংখ্যাই এতো বেশি, সেগুলো পড়তে গেলেই এক জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার কথা।
ফিকশনের তুলনায় নন ফিকশন স্পাই স্টোরি পড়ার মধ্যে বাড়তি একটা লাভ আছে। এর মাধ্যমে গল্পের পাশাপাশি আপনি ইতিহাসের একটা অংশও জানতে পারবেন। জটিল আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা পাবেন।
-
গল্পের শহর: যে বইয়ে স্থান পেয়েছে আমার একটি ননফিকশন থ্রিলার
বইয়ের শহর গ্রুপটি নতুন হলেও বেশ অ্যাকটিভ। দুইদিন পরপরই বিভিন্ন কুইজ, রিভিউ, প্রভৃতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, পুরস্কার-টুরস্কারও দেয়।
বইমেলা উপলক্ষ্যে তারা একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছে, নাম “গল্পের শহর”। বইটি প্রকাশিত হবে সূচিপত্র প্রকাশনী থেকে। কীভাবে কীভাবে যেন আমার একটি গল্পও এখানে স্থান পেয়ে গেছে 🙂
সূচিপত্র প্রকাশনী থেকে প্রকাশিতব্য বই গল্পের শহর, যে বইয়ে আছে আমার একটি স্পাই স্টোরি গল্পের শহর বইয়ের সূচিপত্র, যেখানে আছে আমার লেখা গোয়েন্দা গল্প উল্টোস্রোতের গুপ্তচর
বইটি মূলত হরর, থ্রিলার, ডিটেকটিভ এবং রোমান্টিক গল্পের সঙ্কলন। কয়েকটি গল্প নেওয়া হয়েছে সরাসরি গ্রুপের পক্ষ থেকে নির্বাচিত কিছু লেখকের কাছ থেকে, আর বাকি গল্পগুলো বাছাই করা হয়েছে গ্রুপের পাঠকদের পাঠানো গল্প থেকে।
আমি হচ্ছি সেই সৌভাগ্যবান লেখকদের একজন, যাকে সরাসরি গ্রুপের পক্ষ থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এবং আমি সম্ভবত এই লিস্টের সবচেয়ে অখ্যাত “লেখক”। সরাসরি নির্বাচিত বাকি সবাই দেখি বেশ বিখ্যাত, একাধিক বইয়ের লেখক, এবং পাঠকরাও তাদেরকে চেনে। আমিই বহিরাগত 🙂
আরো পড়ুন: স্পাই স্টোরিজ – সত্যিকার গুপ্তচরদেরদের কাহিনী নিয়ে আমার নন-ফিকশন থ্রিলার বই
আমার ফ্রেন্ডরা এবং নিয়মিত পাঠকরা যারা এতোক্ষণ ধরে ভ্রু কুঁচকে পড়তে পড়তে ভাবছিলেন, “এই লোক আবার গল্প লেখে কবে থেকে”, তাদের কাছে ক্লিয়ার করি – টেকনিক্যালি আমার লেখাটা গল্প না। এটা হচ্ছে ননফিকশন থ্রিলার। সত্যিকারের একটা স্পাই স্টোরি, কিছুটা থ্রিলারের আদলে লেখা। আশা করি ভালোই লাগবে পড়তে।
আমার গল্পটার নাম “উল্টোস্রোতের গুপ্তচর”। বইয়ের সূচিপত্রে এর অবস্থান চার নম্বরে। কোন দেশী স্পাই, কাহিনী কী, আপাতত গোপন থাকুক, বই বের হলে একেবারেই পড়ে নিয়েন। আপাতত প্রকাশের অপেক্ষায় আছি।
-
লিবিয়ার যুদ্ধে বাংলাদেশিদের জীবন: প্রথম আলোতে প্রকাশিত
২০১১ সালে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল আট মাস ছয় দিন। এ বছরের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে শুরু হওয়া রাজধানী ত্রিপোলি দখলের যুদ্ধ গত সপ্তায় সেই সময়সীমাকেও অতিক্রম করে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে দীর্ঘ অচলাবস্থার পর গত সপ্তায় যুদ্ধ গতি পেয়েছে। শহরের উপকণ্ঠ ছাড়িয়ে যুদ্ধ এখন এগিয়ে আসছে ত্রিপোলির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর দিকে, যে এলাকাগুলোতে লিবিয়ানদের পাশাপাশি প্রচুর বাংলাদেশীও বসবাস করে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল খালিফা হাফতার গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, নতুন বছরের আগেই তিনি ত্রিপোলি জয় করবেন। হাফতারের এ ধরনের দাবি অবশ্য নতুন না। এ বছরের এপ্রিল মাসে তিনি যখন প্রথম ত্রিপোলি দখলের জন্য অভিযান শুরু করেছিলেন, তখন তিনি তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের সমর্থন আদায় করেছিলেন এই আশ্বাস দিয়ে যে, এটি হবে খুবই সংক্ষিপ্ত একটি অভিযান। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ রাজধানী তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
-
লিবিয়ার প্রক্সিযুদ্ধের মূল্য দিচ্ছে বাংলাদেশীসহ প্রবাসী শ্রমিক এবং শরণার্থীরা: প্রথম আলোতে প্রকাশিত
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। রাজধানী ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণের জন্য এ বছরের এপ্রিলের ৪ তারিখে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ শুরু থেকেই ছিল মূলত আন্তর্জাতিক প্রক্সিযুদ্ধ বা ছায়াযুদ্ধ। গত সাড়ে সাত মাসে এর আন্তর্জাতিক রূপটি কেবল আরো প্রকট হয়েছে; অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্য দিয়েও, নিহত বেসামরিক জনগণের মধ্য দিয়েও।
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে এই মুহূর্তে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে অন্তত নয়টি দেশ। একদিকে পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের সেনাপ্রধান, ফিল্ড মার্শাল খালিফা হাফতারকে সাহায্য করছে প্রধানত আরব আমিরাত, কিন্তু তার সাথে আরো আছে মিসর, সৌদি আরব, ফ্রান্স, সুদান, জর্ডান এবং রাশিয়া। অন্যদিকে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার জিএনএর (গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল অ্যাকর্ড) পক্ষে আছে প্রধানত তুরস্ক, এবং সেই সাথে সীমিত আকারে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে কাতার। আর এসব দেশের অর্থায়নে এবং এদের দেওয়া অস্ত্রের এলোপাথাড়ি গোলাগুলি এবং বিমান হামলায় নিহত হচ্ছে দুই পক্ষের লিবিয়ান যোদ্ধাদের পাশাপাশি প্রায় এক ডজন দেশের নাগরিকরা।
-
গাদ্দাফির পতনের ছয় বছর: কেমন আছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা?
গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই লেখাটি লিখেছিলাম। প্রকাশিত হয়েছিল বিডিনিউজ ২৪ ডট কমে “লিবিয়ায় যেমন আছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা” শিরোনামে। এতে ঐ সময় পর্যন্ত লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের পরিস্থিতির পাশাপাশি লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিরও সংক্ষিপ্ত একটি চিত্র উঠে এসেছে।
প্রবাসগমনে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের জন্য লিবিয়া সব সময়ই আকর্ষণীয় একটা দেশ ছিল। লিবিয়াতে যাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ, উপার্জন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় ভালো, কাগজপত্রের বৈধতা নিয়ে খুব বেশি কড়াকড়ি নেই, পুলিশি হয়রানি নেই, এবং সবচেয়ে বড় কথা, লিবিয়া হচ্ছে স্বপ্নের ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ, সস্তা এবং জনপ্রিয় রুট। কিন্তু এ সবই গাদ্দাফির আমলের কথা। গাদ্দাফির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হওয়ার ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি আসছে কয়দিন পরেই। প্রশ্ন হচ্ছে, গাদ্দাফির পতনের পাঁচ বছর পর বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য লিবিয়া কতটুকু বসবাসযোগ্য?
-
মোহাম্মদ মুরসির অভিষেক
প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মুরসির অভিষেক অনুষ্ঠানটি তার জন্য এর চেয়ে বেশি অপমানজনক হওয়া সম্ভব ছিল না।
নির্বাচনের দিন রাতে মুরসি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি বিলুপ্ত পার্লামেন্টকে পুনর্বহাল করবেন এবং সেই পার্লামেন্টের সামনেই শপথ গ্রহণ করবেন। কিন্তু মিলিটারি কাউন্সিল তাকে তার প্রতিজ্ঞা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে। অভিষেক অনুষ্ঠানের পূর্বে দুইজন জেনারেল টেলিভিশনে এক যৌথ বিবৃতিতে প্রতিজ্ঞা করেন, সামরিক বাহিনী সর্বদাই ব্যাপক ক্ষমতা সহকারে সরকারের পেছনে থেকে “বিশ্বস্ত অভিভাবক” হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাবে।
কী ধরনের “অভিভাবক”?
“আপনার যেভাবে খুশি ব্যাখ্যা করে নিন”, জানিয়েছিলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল-আসার।
-
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবস্থা: বণিক বার্তায় প্রকাশিত
লিবিয়ার চলমান গৃহযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত পটভূমি এবং লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপর এই যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে আমার এই কলামটি প্রকাশিত হয়েছে বণিক বার্তার সম্পাদকীয় বিভাগের অভিমত কলামে, গত ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে।
গত ছয় মাস ধরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দখলকে কেন্দ্র করে চলছে এক রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ, যেটাকে বিশ্লেষকদের অনেকেই লিবিয়ার তৃতীয় গৃহযুদ্ধ নামে অভিহিত করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, জুলাই মাস পর্যন্ত এই যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, যাদের মধ্যে বেসামরিক জনগণের সংখ্যাই শতাধিক। দুঃখজনকভাবে এদের মধ্যে আছে অন্তত ৯ জন বাংলাদেশীও!